শীতকাল মানেই তো চিড়িয়াখানা আর কমলালেবু। আর সেই চিড়িয়াখানা যদি দার্জিলিংয়ের হয় তবে তো কথাই নেই। আর দার্জিলিং ভ্রমণে গেলে একবার চিড়িয়াখানায় না গেলে যেন মন ভরে না। কোথায় যেন কী একটা মিস হয়ে গেল। দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিকাল পার্ক। দার্জিলিং বেড়াতে গেলে একবার দল বেঁধে ঘুরতে যান অনেকেই এই চিড়িয়াখানায়।
এবার জেনে নিন শীতের আগে কোন কোন অতিথিরা এসেছে সেই চিড়িয়াখানায়? কারা কারা আসবে সেই চিড়িয়াখানায়?
শীতের শুরুতেই হায়দরাবাদ থেকে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হয়েছে দুটি সাদা বাঘ। দুটি গোল্ডেন জ্যাকেল বা সোনালি শেয়ালও আনা হয়েছে। চিড়িয়াখানা রয়েছে তারা। সম্ভবত বড়দিনে তাদের দেখা মিলতে পারে।
এখানেই শেষ নয়, দুটি ফিমেল কালো ভল্লুকও আনা হচ্ছে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায়। সিনা আর মিনা। সিকিমের চিড়িয়াখানা থেকে আসছে তারা। বড়দিনের আগে বড় পাওনা দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় আসা দর্শকদের। ওদের বয়স দু বছরের কম। সব মিলিয়ে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায় কালো ভল্লুকের সংখ্যা হচ্ছে তিনটি। আগে থেকেই ছিল গুড্ডু। সেটি পুরুষ ভল্লুক। এবার সিনা -মিনা।
সাদা বাঘও আছে চিড়িয়াখানায়। নভেম্বরের শেষ দিকে এসেছে সাদা বাঘ। গত ২৮শে নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে তারা এসেছে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায়। তবে তারা এখনও এনক্লোজারে আসেনি। হায়দরাবাদের চিড়িয়াখানা থেকে দু জোড়া সোনালি শেয়ালও এসেছে দার্জিলিংয়ের চিড়িয়াখানায়। মূলত পশু বিনিময়ের কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে তাদের নিয়ে আসা হয়েছে। দার্জিলিং চিড়িয়াখানা থেকে হায়দরাবাদে পাঠানো হয়েছে এক জোড়া বেঙ্গল টাইগার, একজোড়া গোল্ডেন ফেজেন্ট, সিলভার ফেজেন্ট, লেডি আর্মহাস্ট ফেজেন্ট।
দার্জিলিং চিড়িয়াখানার অন্যতম আকর্ষণ হল রেড পান্ডা। অত্যন্ত যত্ন দিয়ে এই রেড পান্ডার দেখভাল করা হয় দার্জিলিং চিড়িয়াখানায়।
সম্প্রতি দার্জিলিং সফরে গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি সদ্য জন্ম নেওয়া দুই তুষার চিতার নামকরণ করেছিলেন। একটি হল ডার্লিং আর অপরটি হল চার্মিং। রেড পান্ডাদেরও নামকরণ করা হয়েছে। হিলি, পাহাড়িয়া, ভিকট্রি ও ড্রিম।
মূলত ক্যাপটিভ ব্রিডিংয়ের মাধ্য়মে তারা জন্ম নিয়েছে। এটা দার্জিলিং চিড়িয়াখানার কাছে অত্যন্ত আশার খবর। অত্যন্ত যত্নে রাখা হয়েছে তাদের।
এবার বেড়াতে গেলে ঘুরে আসতে পারেন দার্জিলিং চিড়িয়াখানা থেকে। পরিবার নিয়ে বেড়াতে গেলে আর সেখানে যদি কোনও খুদে সদস্য থাকে তবে খুশি হবে সে। প্রায় ৭০০০ ফুট উচ্চতায় এই চিড়িয়াখানা।একেবারে অন্য অভিজ্ঞতা হয় পর্যটকদের।