সেদার স্মিড হার্ট প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা গবেষণা চালাচ্ছেন যে কাদের কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সম্ভাবনা সব থেকে বেশি থাকে, অর্থাৎ কখন কোন রোগীদের হার্ট কাজ করা বন্ধ করে দেবে তাঁরা বিষয়েই গবেষণা করছেন। এবং প্রায় সেটার শেষের দিকে পৌঁছে গেছেন।
যাঁদের করোনারি ধমনীর সমস্যা আছে তাঁদের মধ্যে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঝুঁকি বা প্রবণতা থাকে। আর এটা এই প্রথমবারের জন্য কোনও গবেষণায় ভালো করে প্রমাণ করা গেল। এই গবেষণা অনুযায়ী যে রোগীদের করোনারি ধমনী একদমই ঠিক করে কাজ করে না, হার্টের কাজ ক্ষমতাও ঠিক নয় তাঁদের মধ্যে ৭৭ শতাংশেরই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হওয়ার তুমুল সম্ভাবনা আছে যেটার পরিমাণ মৃত্যুও হতে পারে!
এই গবেষণাপত্রটি আমেরিকান কলেজ অফ কার্ডিওলজি এর পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এবং করোনারি ধমনীর সমস্যা এই দুটোর মধ্যে যে একটা জিনগত সম্পর্ক আছে সেটা বোঝা উচিত। ফলে এটার দ্বারা সহজেই কাদের মধ্যে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ঝুঁকি বেশি সেটা আগে থেকেই অনুমান করা সম্ভব। এবার থেকে যাঁদের কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট কারণে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি তাঁদের এই জিনগত কারণ থেকে সহজেই চিহ্নিত করা যাবে এবং তাঁদের অপ্রত্যাশিত মৃত্যু হয়তো এবার আটকানো যাবে। হার্ট অ্যাটাক তখন হয় যখন করোনারি ধমনীতে একটা ব্লকেজ তৈরি হয় এবং হার্ট রক্ত পৌঁছতে পারে না তখন হার্ট কাজ করা বন্ধ করে দিলে হয়। অন্যদিকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হচ্ছে আচমকা কোনও ইলেকট্রিক্যাল কাজের জন্য যখন আর হার্ট ব্লাড পাম্প করতে পারে না তখন হয়। এক্ষেত্রে রোগীকে বাঁচানোর সময় খুব কম পাওয়া যায়। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে, কয়েক মিনিটের মধ্যেই রোগীর মৃত্যু হতে পারে।
আমেরিকার প্রায় ৩ লাখ মানুষ প্রতি বছর কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে মারা যান। পৃথিবীতে যত সংখ্যক মানুষ প্রতি বছর মারা যান, তার ১৫-২০ শতাংশ মারা যান কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণেই। আর এই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মূল কারণ হচ্ছে এই করোনারি ধমনীর সমস্যা। এবার থেকে হয়তো এই গবেষণার ভিত্তিতে যাঁদের এই রোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাঁদের আগে থেকে চিহ্নিত এবং সতর্ক করা সম্ভব হবে।