সোমবার দীপাবলি। ইতিমধ্যেই দেদার বাজি ফাটার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। আর কালীপুজো থেকে ভাইফোঁটা পর্যন্ত যে কতটা বাজি ফাটে সেটা আমাদের সবারই জানা আছে। অবশ্য বাজি ছাড়া এই আলোর উৎসব ঠিক জমে না। কত ধরনের না বাজি, চরকি, ফুলঝুরি, রঙমশাল, সাপ বাজি, চটপটি ইত্যাদি। কিন্তু খেয়াল করেছেন কী বাজি কতটা বায়ুদূষণ ঘটায়? একটা বাজি পোড়ালে ঠিক কতটা ধোঁয়া হয় দেখেছেন কখনও?
দীপাবলি যতই আলোর উৎসব হোক, যতই আমরা সেই আনন্দে মেতে উঠি এই দিকটা কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না। এই সময় অতিরিক্ত বায়ুদূষণ হয়ে থাকে। তাই আনন্দ মজায় মাতলেও সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। নিজের এবং পরিবারের খেয়াল রাখা উচিত। বিশেষ করে আপনি নিজে বা পরিবারের অন্য কেউ শ্বাসকষ্ট বা এই জাতীয় অন্য কোনও রোগে ভুগে থাকেন। দেখুন সেক্ষেত্রে কী করণীয়।
১. দেখুন দীপাবলির সময় যে খালি বায়ুদূষণ হয় এমনটা নয়। এই সময় আবহাওয়ার বদল ঘটে। ফলে বাড়ি বাড়ি সর্দি জ্বরের সমস্যা লেগেই থাকে। এই সমস্যার হাত থেকে বাঁচতে চাইলে নিয়মিত আদা খান। আদা দেওয়া চা খেতে পারেন। এতে সর্দি কাশির সমস্যা দূর হবে। গলা ভালো থাকবে। আদার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি , অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল উপাদান। এটা আমাদের শ্বাসনালীতে থাকা কোনও রকম জীবাণুকে নাশ করতে সাহায্য করে।
২. এছাড়া বায়ুদূষণের সমস্যা তো আছেই। আর বায়ুদূষণ হওয়া মানে যাঁদের শ্বাসকষ্ট রয়েছে সেটা আরও বৃদ্ধি পাওয়া। তাই ফুসফুস ভালো রাখতে চাইলে রোজ হলুদ খান। এটাকে কোনও ভাবেই খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেবেন না।
৩. অন্যদিকে আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য ঠাণ্ডা গরম লেগে বুকে কফ জমতে পারে। সেটার হাত থেকে বাঁচার জন্য এই সময় গরম জল খান। তার সঙ্গে অবশ্যই মেশাবেন মধু। কারণ মধু আমাদের ফুসফুসের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে। এতে রয়েছে অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল উপাদান। মধু খেলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।
৪. শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগেন, অ্যাস্থমা আছে? তাহলে নিয়মিত রসুন খান। রোজ এক কোয়া করে রসুন খেলে উপকার পাবেন। রসুন ফুসফুসের যত্ন রাখে।
৫. ফুসফুসকে সার্বিক ভাবে ভালো রাখতে চাইলে গ্রিন টি পান করুন এই সময় রোজ। এটা আপনার ফুসফুসের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখবে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা ফুসফুসকে কোনও রকম ইনফেকশন বা জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে থাকে।