রাখি পূর্ণিমা এসেই গেল। ভাই বোনের সুন্দর সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করে এই উৎসব। বোনদের এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে দাদা বা ভাইকে কী রাখি দেবে, কেমন রাখি দেবে সেই পরিকল্পনা নিয়ে। বাজারে এখন হরেক রকম রাখি পাওয়া যায়, ফুলের রাখি, সুতোর রাখি, কাস্টম রাখি যেখানে দাদা/ভাই লেখা থাকবে বা দাদা/ভাইয়ের ছবি থাকবে, ইত্যাদি। কিন্তু কী বলুন তো, দোকান থেকে কেনা জিনিসের থেকে নিজের হাতে বানানো জিনিসের দাম, কদর দুই-ই বেশি হয়। আর তাছাড়া, কেন্দ্রীয় সরকার তো আত্মনির্ভর হতেই বলেছেন তাহলে এই ক্ষেত্রে নয় কেন?
রাখি বানানো এমন কিছু কঠিন নয়। দুটো উপায় শিখে নিন। তারপর নিজের হাতে রাখি বানিয়ে দাদা/ভাইকে চমকে দিন। দেখে নিন সেই রাখি বানানোর পদ্ধতি।
উলের রাখি
উলের রাখি বানানোর জন্য উলের গোলা লাগবে। যদি রঙিন রাখি বানাতে চান তাহলে একাধিক রঙের উল লাগবে। এবার পদ্ধতি দেখে নিন।
- প্রথমে আপনার বাম হাতের চারটি আঙুলকে এক করে উলের মুখটি নিয়ে ভালো করে পেঁচিয়ে নিন আঙুলে।
- এরপর উলের গোলা থেকে কেটে নিন হাতে জড়ানো উলটিকে।
- তারপর জড়ানো অবস্থাতেই রেখে হাত থেকে খুলে নিন উলটাকে।
- তারপর এই পেঁচানো উলের মাঝখানটা সুতো দিয়ে বেঁধে দিন।
- তারপর উলের দুধারের মুখ দুটো কেটে দিন।
- এরপর গোটা জিনিসটাকে কেটে গোল আকার দিন।
- যদি একাধিক রঙের রাখি বানাতে চান তাহলে এভাবেই দু তিন রঙের উল নিয়ে ছোট ছোট ফুল করুন। বিভিন্ন সাইজের বানাতে পারেন।
- তারপর উলের ফুলগুলো পরপর আঠা দিয়ে বসিয়ে দিন।
- হাতে বাঁধার মাপ অনুযায়ী একটা উলের টুকরো নিন, আর এই ফুলের সারির নিচে আঠা দিয়ে বসিয়ে দিন। কিন্তু এক্ষেত্রে মনে রাখবেন, কাগজের টুকরো ব্যবহার করতে হবে।
- এর উপর আপনি চাইলে পুঁতি, পাথর, ইত্যাদি বসাতে পারেন।
শিফন রাখি
উলের মতোই শিফন রাখি বানানোর পদ্ধতি, শুধু উলের জায়গায় এখানে বিভিন্ন রঙের শিফন ফিতে ব্যবহার করতে হবে।
- হাতে একই ভাবে শিফন ফিতে জড়িয়ে সেটাকে কেটে নিতে হবে।
- তারপর মাঝখানটা বেঁধে নেওয়ার পর চারপাশটা ভাল করে ব্রাশ দিয়ে আচড়ে নিন।
- তারপর চারদিকটা সমান ভাবে কেটে নিন।
- এবার পিছনে একটা রিবনে কাগজ লাগিয়ে এই ফুলটা বসিয়ে দিন।
- এই রাখির উপরেও আপনি পুঁতি বা পাথর লাগাতে পারেন।
এভাবেই তৈরি হয়ে যাবে শিফনের রাখি।