অনেকেই বলে থাকেন যে, বিয়ার পান করলে কোনও ক্ষতি হয় না। নানা সমীক্ষায় উঠে এসেছে যে নির্দিষ্ট পরিমাণে বিয়ার পান শরীরের উপকার করে থাকে। বিয়ার পানের আগে তার উপকারিতা যেমন জেনে রাখা উচিত, তেমনই জেনে রাখা ভালো বিয়ার পানের ফলে শরীরের কী কী ক্ষতি হতে পারে, সেটিও—
১. প্রয়োজনের চেয়ে বেশি কোনও কিছুই খেলে বা পান করলে, তা শরীরের ক্ষতি করে দেয়। বিয়ারের ক্ষেত্রেও এই কথাটি খাটে। ওয়াইনের তুলনায় বিয়ারে অ্যালকোহলের পরিমাণ কম হয়। এতে কোনও প্রিসারভেটিভ থাকে না। পাউরুটির মতো প্রোসেসড ও ফার্মেন্ট করা হয়। কিছু কিছু সমীক্ষায় একে হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী বলা হয়েছে।
২. বিয়ারে এইচডিএল বা গুড কোলেস্টেরল থাকে। এতে ভিটামিন বি৬, বি, ফলিক অ্যাসিড ও দ্রাহ্য ফ্যাট থাকে। শরীরের পক্ষে এটি উপকারী। বিয়ার পান করলে হোমোসিস্টিনের স্তর কমে। উল্লেখ্য এই হোমোসিস্টিনই হৃদরোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
৩. কম পরিমাণে হলেও বিয়ারে অ্যালকোহল থাকে। বেশি বিয়ার পান করলে এটি লিভার, প্যানক্রিয়াস ও হৃদযন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে।
৪. ঘুম ব্যাঘাত হলে বা অনিদ্রায় ভুগলে বিয়ার থেকে দূরত্ব বজায় রাখা ভালো। কারণ এটি আপনার স্লিপ সাইকেলে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
৫. এবার ধরুন আপনি বিয়ার পান করেন না এবং বন্ধুদের কথায় বিয়ার পান করছেন, তা হলে মনে রাখবেন আপনি এতে অভ্যস্ত নন। যে কোনও আ্যালকোহলই আসক্তি ঘটায়। তাই ভালোভাবে চিন্তাভাবনা করে বন্ধুদের কথায় সায় দিন।
৬. বিয়ারে অ্যালকোহল কম থাকে বলে লোকে একে কম ক্ষতিগ্রস্ত মনে করেন এবং মাত্রাতিরিক্ত পান করে যান। এই প্রবণতাই ক্ষতি করতে পারে। কোনও কিছুই মাত্রাতিরিক্ত পান করা উচিত না।
৭. হৃদরোগ, লিভারে সমস্যা হলে বিয়ার পান করবেন না। পাশাপাশি গর্ভবতী মহিলাদেরও বিয়ার পান থেকে বিরত থাকা উচিত। অনেকে হতাশা ও অনিদ্রায় ভোগেন তাঁরাও বিয়ার পান যথাসম্ভব এড়িয়ে যান। নিয়মিত কোনও ওষুধ খেয়ে থাকলেও বিয়ার পান করবেন না।