ভালো আবার স্বাস্থ্যকর এমন রান্না কার না ভালো লাগে, কিন্তু মুশকিল হল এই দুটো জিনিস অনেক সময়ই এক সঙ্গে হয় না। ফলে সমস্যা হয়। রান্নাকে আরও উপাদেয় করে তুলতে গিয়ে অনেক সময়ই যিনি রান্না করছেন তিনি ভুল করে ফেলেন যা আখেরে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। তাই রান্না করার সময় এই ভুলগুলো এড়িয়ে চলুন।
রান্নার সময় যে ভুল করবেন না:
রান্না করার সময় খেয়াল রাখবেন স্বাদ বাড়ানোর সঙ্গে আপনাকে কিন্তু খাবারের পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার কী করণীয় দেখে নিন।
মশলার ব্যবহার: রান্নায় কখনই বেশি মাত্রায় মশলা ব্যবহার করবেন না। অত্যধিক সোডিয়াম আছে এমন জিনিস বর্জন করাই ভালো। রান্নায় বা স্যান্ডউইচে অনেকেই সোয়া সস বা মেয়োনিজ ব্যবহার করেন। কিন্তু জানেন কি এগুলো আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ক্ষতিকর? তাই এগুলো এড়িয়ে চলুন।
মধু কোথায় রাখবেন: মধু আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণই উপকারী। কিন্তু তাই বলে যদি আপনি মধুকে গরমে রাখেন তাহলে কিন্তু মধুর পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার তুমুল সম্ভাবনা থাকে। আর আপনি যদি মধুকে ৪০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রায় রান্না করেন তাহলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণই ক্ষতিকর হয়ে যায়।
ভেজিটেবল তেল: ভেজিটেবল তেল বেশি গরম করবেন না। এমনকি অলিভ অয়েল এবং নারকেল তেলও নির্দিষ্ট তাপমাত্রার বেশি গরম করলে তা স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
তেলেভাজা খাবার: যতই আপনার চপ, লুচি, ভাজাভুজি খেতে ভালো লাগুক, এগুলো কিন্তু আখেরে শরীরের ক্ষতিই করে। অত্যধিক পরিমাণের তেল খাওয়া মানে হার্টের অসুখের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া। তাই রান্নায় যতটা পারবেন কম তেল দেবেন।
ভুল প্লেট: ননস্টিক বাসন আজকাল অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন রান্নার জন্য, কিন্তু জানেন কি এতে টেফলন নামক একটি বস্তু থাকে যা আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। তাই যতটা সম্ভব সাধারণ বাসন ব্যবহার করে রান্না করুন।
কাঁচা নুন: মনের ভুলেও কাঁচা নুন খাবেন না। অতিরিক্ত কাঁচা নুন খাওয়া মানে হার্ট এবং কিডনির সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়া।
সবজি রান্না: দীর্ঘক্ষণ ধরে কোনও সবজি রান্না করবেন না, এতে তার পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
সবজির খোসা: রান্নার সময় আমরা অনেক সময়ই অনেক সবজির খোসা ছাড়িয়ে ফেলি, কিন্তু সেটা উচিত নয়। খোসাতেও থাকে অনেক পুষ্টিগুণ। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আলু, গাজর, কুমড়ো, শশা, ইত্যাদির খোসায় থাকে অনেক ভিটামিন, মিনারেল, ইত্যাদি।