লক্ষ্মীপুজোর দিন তিলের নাড়ু হবে না, তাও কী হয়! কিন্তু তিলের নাড়ু করব বললেই তো করা যায় না। অনেকেই ঠিকমতো আকারে নাড়ু বানাতে পারেন না। শক্ত কাঠ হয়ে গেলে নাড়ু বানাতেও অসুবিধা হয়। অনেক সময় আবার পাক দিতে গিয়ে সমস্যা হয়। তবে, এইসব সমস্যা এড়িয়ে সুস্বাদু ঠিকমতো তিলের নাড়ু বানানোর একটি স্পেশাল কায়দা রয়েছে। আসুন দেখে নেওয়া যাক সেই পদ্ধতি।
তিলের নাড়ু রেসিপি
উপকরণ - সাদা বা কালো তিল ১ কাপ, আখের গুড় বা খেজুর গুড় ৩/৪ কাপ থেকে ১ কাপ, জল ১/২ কাপ, এলাচ গুঁড়ো (ঐচ্ছিক) ১/২ চা চামচ
(আরও পড়ুন - মা লক্ষ্মীর বড় প্রিয় এই ৫ রাশি! কোজাগরী পূর্ণিমায় তাদের প্রাপ্তির লিস্টে কী কী?
আরও পড়ুন - লক্ষ্মী পুজোর সপ্তাহেই দেখা দিচ্ছে কালসর্প যোগ! কোন কোন রাশির কপাল খুলছে?)
প্রণালী
১. প্রথমে তিলগুলো ভালো করে পরিষ্কার করে নিন যাতে কোনো কাঁকর বা ময়লা না থাকে। একটি শুকনো কড়াই বা প্যানে মাঝারি থেকে কম আঁচে তিলগুলো ভাজুন। তিল ফুটতে শুরু করলে এবং সুন্দর গন্ধ বের হলে নামিয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন তিল যেন পুড়ে না যায়। সোনালী বা হালকা লালচে হলেই নামিয়ে নিন। ভাজা তিল একটি পাত্রে তুলে ঠান্ডা হতে দিন।
২. ঐ একই কড়াই বা প্যানে জল এবং গুড় একসঙ্গে মিশিয়ে গরম করুন। আঁচ মাঝারি রাখুন এবং গুড় গলে যাওয়া পর্যন্ত ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। গুড় পুরোপুরি গলে গেলে আঁচ কমিয়ে দিন। গুড়ের মিশ্রণটি ঘন হতে শুরু করবে।
৩. একটি ছোট বাটিতে সামান্য জল নিন। গুড় ঘন হয়ে এলে এক ফোঁটা গুড়ের মিশ্রণ ঐ জলে ফেলে দিন। যদি গুড় সঙ্গে সঙ্গে শক্ত হয়ে যায় এবং হাতে তুলে গোল করা যায়, তাহলে বুঝবেন পারফেক্ট পাক হয়ে গেছে। যদি গুড় গলে যায়, তাহলে আরও কিছুক্ষণ জ্বাল দিতে হবে।
৩. পাক হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে ভাজা তিলগুলো গুড়ের মিশ্রণে দিয়ে দিন। ঐচ্ছিকভাবে এলাচ গুঁড়ো যোগ করুন। তাড়াতাড়ি সব উপকরণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি বেশ আঠালো হবে। মিশ্রণটি একটি থালা বা পাত্রে ঢেলে দিন। এটি গরম থাকা অবস্থাতেই নাড়ু পাকানোর কাজ শুরু করতে হবে।
৪. হাতে অল্প জল বা সামান্য তেল (সর্ষের তেল বা ঘি) মেখে নিন, এতে হাতে ছ্যাকা লাগবে না এবং নাড়ুগুলো মসৃণ হবে। গুড়-তিলের মিশ্রণ থেকে অল্প অল্প অংশ নিয়ে গরম থাকা অবস্থাতেই গোল গোল করে নাড়ু তৈরি করুন। মিশ্রণ ঠান্ডা হয়ে গেলে শক্ত হয়ে যাবে এবং নাড়ু তৈরি করা যাবে না। সব নাড়ু পাকানো হয়ে গেলে, সেগুলিকে পুরোপুরি ঠান্ডা হতে দিন।