Kolkata News: কলকাতার তিন স্থানে ফুড স্ট্রিট চালু হওয়ার কথা ছিল ২০২৪ সালে। চাইনিজ থেকে মোগলাই, ইন্ডিয়ান থেকে কন্টিনেন্টাল নানারকম খাবারের স্টল হওয়ার কথাও ছিল। কিন্তু স্টল বিলি নিয়ে টানাপোড়েনের জেরেই ক্রমে পিছিয়ে যাচ্ছে ফুড স্ট্রিটের উদ্বোধন। কয়েকটি কোটি টাকা খরচ করে বানানো হয় এই স্টলগুলি। আপাতত সেগুলি পড়ে থেকে থেকেই নষ্ট হচ্ছে।
স্টল বণ্টন নিয়ে দ্বিমত
এই সময় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুরসভা সূত্রে খবর, ফুড স্টলের দায়িত্ব কারা পাবে, তাই নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। দীর্ঘদিন ধরে তার মীমাংসা হচ্ছে না। এক দল চাইছে, বড় বড় সংস্থাকে এই স্টরগুলির দায়িত্ব দিতে। তাতে স্টলগুলি বেশি করে মানুষ টানবে। আকর্ষণ বাড়বে ফুড স্ট্রিটগুলির। আবার অন্য দল চাইছে, কেন্দ্রের নির্দেশ মেনে শুধু নথিভুক্ত হকারদের হাতেই তুলে দেওয়া হোক ফুড স্টলগুলি। কিন্তু নথিভুক্ত হকারদের মধ্যে কাকেই বা স্টলগুলি দেওয়া হবে? কীভাবে হবে নির্বাচন? তা নিয়েও ধন্দ রয়ে গিয়েছে। পুরসভা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না বলে দীর্ঘ দিন তৈরি হয়ে পড়েই রয়েছে স্টলগুলি।
আরও পড়ুন - প্রথমবার তাকিয়েই গাছ দেখলেন না নারীর মুখ? আপনার ভাবনাচিন্তার ধরন বলে দেবে ছবিটি
কলকাতা ছাড়াও শিলিগুড়িতে ফুড স্ট্রিট
প্রসঙ্গত, ইউরোপ আমেরিকার বিভিন্ন দেশের বড় বড় শহরগুলিতে এমন ফুড স্ট্রিট রয়েছে। শহরের কোনও একটি নির্দিষ্ট স্থানে এই স্ট্রিটগুলি থাকে। সেই ধাঁচেই দেশের ১০০টি শহরে এমন ফুড স্ট্রিট তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। তার মধ্যে রয়েছে কলকাতা। কলকাতার রাসেল স্ট্রিট, পাটুলি ও টালাতে এই ফুড স্ট্রিট তৈরি হয়েছে। শিলিগুড়িতেও রাজ্য সরকার একটি ফুড স্ট্রিট তৈরি করছে।
আরও পড়ুন - ভাং নয়, মদ-মাদক দিয়ে ‘বীভৎস’ পানীয় বানাল তরুণী! Viral হতেই আঁতকে উঠল নেটপাড়া
১ বছর পার
কলকাতা পুরসভা টেন্ডার ডেকে শহরের তিনটে স্থানে ১৬টি করে ফুড স্টল বসিয়েছে। কিন্তু কাজ শেষ হয়ে যাওয়ার ১ বছর পরেও স্টলগুলির দায়িত্ব এখনও কোনও হকারই পাননি। ফলে কোনও ফুড স্ট্রিটই চালু হয়নি।
কী বলছেন পদস্থ ব্যক্তিরা
হকার সংগ্রাম কমিটির নেতা শক্তিমান ঘোষ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, হকারদের জন্যই এই স্টলগুলি বানানো। কলকাতার সেরা ফুড হকারদের বেছে স্টল বিলি করা হোক। কিন্তু বড় বড় সংস্থার হাতে দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব মানব না।’ কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদের সদস্য দেবাশিষ কুমারের কথায়, ‘স্টলগুলি যত দ্রুত চালু করা যায়, সেই চেষ্টাই চলছে।’