Kolkata water crisis: খাওয়ার জল প্রায় শেষ! কলকাতার জলে বিষ, কী হতে চলেছে আগামী ২ বছরে

Kolkata water crisis: কলকাতার ভূগর্ভস্থ জল নিয়ে নয়া আশঙ্কার কথা শোনালেন বিজ্ঞানীরা। দ্রুত নেমে যাচ্ছে মাটির নিচের জলস্তর। এর ফলে জোড়া বিপদে পড়তে পারে তিলোত্তমা।

কলকাতার ভূগর্ভস্থ জল নিয়ে নয়া আশঙ্কার কথা শোনালেন বিজ্ঞানীরা। দ্রুত নেমে যাচ্ছে মাটির নিচের জলস্তর। এর ফলে বড় বিপদে পড়তে পারে তিলোত্তমা। বিজ্ঞানীদের কথায়, ২০২৫ সালের মধ্যে মাটির নিচের জলস্তর অর্ধেকের বেশি নেমে যেতে পারে। এর ফলে জল সংকটে ভুগবে সারা শহর। তার থেকেও বড় ভয়ের কথা, কমে আসা জলস্তরের মধ্যে আর্সেনিকের পরিমাণ বেড়ে যাবে। যার ফলে রীতিমতো পানের অযোগ্য হয়ে যাবে ভূগর্ভস্থ জল। 

কেন্দ্রীয় ভূগর্ভস্থ জল বোর্ড (সেন্ট্রাল গ্রাউন্ড ওয়াটার বোর্ড) এই নিয়ে পাঁচ বছর ধরে একটি গবেষণা করে। ২০১৭ থেকে ২০২১ মোট পাঁচ বছরের গবেষণার পর প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, কলকাতার ভূগর্ভস্থ জলের মাত্রা ২.১ মিটার নেমে গিয়েছে। পাঁচ বছর জলতলের মাত্রা যা ছিল, তার থেকে ১৮.৬ শতাংশ নেমে এসেছে জলতলের মাত্রা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অবস্থা কলকাতার থেকেও খারাপ। এই জেলায় জলতল পাঁচ বছরে নেমে গিয়েছে ২.৫ মিটার। শতাংশের হিসেবে কলকাতার তুলনায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা বেশি বিপদে রয়েছে। কেন্দ্রীয় ভূগর্ভস্থ জল বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২৭.৮ শতাংশ নেমে গিয়েছে জলের মাত্রা। ভবিষ্যতে এই জলতলের মাত্রা আরও নামবে বলেই আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের। গবেষকদের কথায়,  ২০২৫ সালের গোড়ায় জলতলের মাত্রা ৪৪ শতাংশ পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। 

গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতোই বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে জলে আর্সেনিকের পরিমাণ। এই গবেষণাপত্রের সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানীদের কথায়, ভূগর্ভস্থ জলের পরিমাণ যত কমবে, ততই বাড়বে আর্সেনিকের পরিমাণ। এর ফলে পানের অযোগ্য হয়ে যাবে সেই জল। শুধু তাই নয়, জলবাহিত রোগের হারও বেড়ে যাবে অনেকটাই। ঘটনাচক্রে কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আর্সেনিক সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক বেশি। কারণ এই অঞ্চলে বিষাক্ত খনিজের পরিমাণও বেশি। বিজ্ঞানীদের কথায়, সময় থাকতে সতর্ক না হলে এই বিপদ এড়ানো অসম্ভব।