বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > KC Das: বিশ্বের মিষ্টি মানচিত্রে ঠাঁই কেসি দাশের রসগোল্লার! সেরা ১৫০-তে আছে কলকাতার আরও দুই

KC Das: বিশ্বের মিষ্টি মানচিত্রে ঠাঁই কেসি দাশের রসগোল্লার! সেরা ১৫০-তে আছে কলকাতার আরও দুই

বিশ্বের মিষ্টি মানচিত্রে ঠাঁই কেসি দাশের রসগোল্লার!

KC Das: কলকাতা মানেই ভারতের অন্যান্য প্রান্তের লোকজন যা বোঝেন 'কেমন আছ?', 'মাছি-ভাত খাবে?' এবং অবশ্যই 'রসগুল্লা'। এবার এই রসগোল্লার হাত ধরেই কলকাতার জনপ্রিয় মিষ্টি দোকান কেসি দাশের জয়জয়কার। বিশ্বের মিষ্টি ম্যাপে ঠাঁই পেল সিটি অব জয়।

কলকাতার বাইরে আছেন, কেউ জিজ্ঞেস করে জানতে পারল আপনি বাঙালি তাঁদের তখনকার অভিব্যক্তি ঠিক কেমন হয়? বা আপনার প্রবাসের অবাঙালি বন্ধুরা আপনি বাঙালি বলে প্রথমে কী কী বলে বলুন তো? দাঁড়ান আমিই বলছি। 'কেমন আছ?', 'মাছি-ভাত খাবে?' এবং অবশ্যই 'রসগুল্লা'। কী তাই তো? বাঙালি, বাংলা যেন মিষ্টির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। আর হবে নাই বা কেন, বাঙালির মিষ্টিপ্রেমের কথা যে জগৎ জুড়েই বিখ্যাত। এবার তাতে আরও একটা সিলমোহর লাগল। বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সংস্থা টেস্ট অ্যাটলাসের মিষ্টি তালিকায় ২৫ নম্বরে জায়গা করে নিল কলকাতার কেসি দাশ মিষ্টি দোকানের রসগোল্লা, সঙ্গে আছে আরও দুই।

সুখবর পেলে বাঙালির মিষ্টিমুখ করা চাই, শুভ কাজে গেলেও মিষ্টিমুখ অবধারিত, বিসর্জনের পর, অনুষ্ঠান, পুজোয় মিষ্টি চাই চাই, শেষ পাতে বাঙালির ওই মিষ্টি না হলে ঠিক জমে না বুঝলেন কিনা! আর সেই জন্যই বোধহয় গোটা পৃথিবীর মিষ্টি ম্যাপে জায়গা হল কলকাতার তিনটি নামী দোকানের, তার অন্যতম অবশ্যই কেসি দাশ।

সম্প্রতি টেস্ট অ্যাটলাস গোটা পৃথিবীর সেরা ১৫০টি ডেজার্ট প্লেস বা মিষ্টিমুখ করা যায় এমন গন্তব্যের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর এই তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। আর সেই তালিকা দেখে বাঙালি মিষ্টিপ্রেমিদের মুখে একটা চওড়া হাসি ফুটেছে! হবে নাই না কেন, বিশ্বজোড়া ম্যাপে ১৫০ টার মধ্যে ৩টি কলকাতার! ২৫ নম্বরে রয়েছে কেসি দাশ। তারা এই তালিকায় স্থান করেছেন তাদের রসগোল্লার জন্য। এরপর ২৬ নম্বরে আছে ফ্লুরিজ। রাম বল যা কিনা এক বিশেষ ধরনের কেক সেটা এই তালিকায় স্থান পেয়েছে। এরপর সন্দেশের জন্যই ৩৭ নম্বরে আছে বলরাম মল্লিক ও রাধারমণ মল্লিক।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশি বন্ধুদের মজলিস জমল গীতা দত্তের গানে, ফেসবুকে পোস্ট হতে নিমেষেই ভাইরাল, দেখুন ভিডিয়ো

আরও পড়ুন: কলকাতা মেট্রোয় ছোট্ট দুর্গার আবির্ভাব! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল মুকুট-শাড়ি পরা এই খুদে

ভাবছেন এক নম্বরে কে আছে? পর্তুগালের লিসবন শহরের বেকারি পাস্তেস দে বেলেম। পাফ পেস্ট্রির জন্য এই ১৮৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত দোকানটি খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছেছে। আর ভারতের মধ্যে সেরা কে ভাবছেন? পুনের কায়ানি বেকারি। এটি এই তালিকার ১৮ নম্বরে আছে। এরা জনপ্রিয় এদের মাওয়া কেকের জন্য।

টেস্ট অ্যাটলাসের মতে এই জায়গার মিষ্টিগুলো যে কেবল সুস্বাদু সেটাই নয়, মিষ্টি তৈরি হওয়া এবং জায়গাগুলোর নিজের ইতিহাস এবং নিজস্ব একটা স্বাদ আছে। তাহলে আর এরপর এই তিন দোকানের সামনে দিয়ে গেলে একবার ঢুঁ দেবেন নাকি?

বন্ধ করুন