যখন আপনি সত্যিই ভেতর থেকে খুশি থাকেন, তখনই আপনার মুখে ফুটে ওঠে এক অনাবিল হাসি। তবে ইতিবাচক পরিস্থিতিতে তো সবাই হাসতে পারে, নেতিবাচক পরিস্থিতিতেও যারা হাসতে পারে, তারাই দিনের শেষে হয়ে যায় জয়ী। হাসির মাধ্যমে সকলের মধ্যে পজিটিভ এনার্জি ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই প্রতিবছর পালন করা হয় জাতীয় হাসি দিবস।
কবে পালন করা হয় জাতীয় হাসি দিবস?
প্রতিবছর ৩১ মে জাতীয় হাসি দিবস পালন করা হয়।
কীভাবে শুরু হলো হাসি দিবস?
এই দিনটির নেপথ্যে রয়েছেন মদন কাটারিয়া নামক এক ভারতীয় চিকিৎসক। তিনি প্রথম এই দিনটির পরিকল্পনা করেছিলেন। মদন কাটারিয়া তার রোগীদের প্রতিদিন হাসির ব্যায়াম করার জন্য পরামর্শ দিতেন। ১৯৯৮ সালে তিনিই মে মাসের শেষ রবিবার এই দিনটি উদযাপন করেন। বর্তমানে সারা বিশ্বের ১১৫টির বেশি দেশ হাসি দিবস উদযাপন করেন।
(আরো পড়ুন: যদি আপনি ত্রিশোর্ধ্ব মহিলা হন, তাহলে আজকেই করার এই ৮ টি মেডিক্যাল পরীক্ষা)
কেন যে কোনও পরিস্থিতিতে হাসা উচিত?
দীর্ঘ জীবন: আপনি যত হাসি খুশি থাকবেন তত আপনি দীর্ঘজীবী হবেন। যে মানুষ সব সময় হাসিখুশি থাকে তার জীবনে পজিটিভ এনার্জি আরো বেশি বেড়ে যায় এবং সেই মানুষটির জীবনে কোনও রোগ দেখা যায় না ফলে সবসময় হাসতে থাকা মানুষটি হয় দীর্ঘজীবী।
মানসিক চাপ কমায়: বর্তমানে কাজ বা পারিবারিক চাপে সবসময় স্ট্রেস বা উদ্বিগ্ন থাকেন মানুষ। তবে এই পরিস্থিতিতেও যদি আপনি হাসতে পারেন তাহলে আপনা আপনি আপনার মানসিক চাপ কমে যাবে। সব সময় হাসি খুশি থাকা মানুষ ঠান্ডা মাথায় অনেক কঠিন পরিস্থিতিতে লড়াই করতে পারে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: সব সময় হাসতে থাকা মানুষ শারীরিকভাবে সুস্থ থাকে সবসময়। এটি আপনার শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করে এবং যে কোনও রোগের সঙ্গে লড়াই করতে আপনাকে সহায়তা করে।
(আরো পড়ুন: ঋতুকালীন ছুটি পাবেন মহিলারা, বাঙালি প্রধান বিচারপতির উদ্যোগে বড় সিদ্ধান্ত সিকিম হাইকোর্টের)
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে: সব সময় হাসি খুশি থাকলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে এবং আপনার হার্টের সমস্যা আপনার থেকে দূরে থাকে। মানসিক প্রেসার না থাকলে স্বাভাবিকভাবেই আপনার স্নায়ুগুলি শান্ত এবং শীতল হয়ে যায় এবং কোনও রকম শারীরিক সমস্যা আপনার ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
শরীরের ব্যাথা কমায়: এন্ডোরফিন এবং সেরোটোনিন নামক দুটি হরমোন নিঃসরণ করতে সাহায্য করে হাসি। এই দুটি হরমোন সঠিকভাবে নিঃসরণ হলে আপনার শরীরের যাবতীয় ব্যথা কমে যায় এবং আপনি হয়ে ওঠেন শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ।
ওজন কমায়: চিকিৎসকদের মত অনুযায়ী, রোজ ১০ থেকে ১৫ মিনিট যদি আপনি হাসেন তাহলে ৪০ ক্যালোরি বার্ন করতে পারেন আপনি। শারীরিক কসরত করার তুলনায় এই ক্যালোরি কমার পরিমান হয়তো কম কিন্তু অন্যান্য উপকারগুলি পাওয়ার জন্য মুখে হাসি থাকা ভীষণ প্রয়োজন।