অতিমারি শেষ করতে চান? মুক্তি পেতে চান করোনার হাত থেকে? তাহলে আরও বেশি করে ছড়িয়ে দিন ওমিক্রন। যত বেশি মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হবেন, ততই তাড়াতাড়ি শেষ হবে এই রোগের। এমনই দাবি দুই ভারতীয় বিজ্ঞানীর। তবে অনেকেই একমত নন তাঁদের সঙ্গে।
হালে বিবেক রামস্বামী এবং অপূর্ব রামস্বামী নামের এই দুই বিজ্ঞানী আলোচনায় এসেছেন তাঁদের ‘ইচ্ছা করে ওমিক্রন বাঁধান’ তত্ত্বের কারণে। বিবেক Roivant Sciences-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং অপূর্ব Ohio State University Medical Center-এর সহকারী অধ্যাপক। এই দুই বিজ্ঞানীর বক্তব্য, সকলেরই নিজে থেকে ওমিক্রন বাঁধিয়ে ফেলা উচিত। তাতেই লাভ হবে। সকলের মধ্যে করোনা ছড়িয়ে যাওয়াই ভালো। না হলে এর পরে আরও ভয়ঙ্কর রূপ নিয়ে করোনা ফিরে আসতে পারে বলে দাবি করছেন তাঁরা।
কেন এমন কথা মনে করেন তাঁরা?
তাঁদের মতে, একটি ভাইরাস ছড়ানোর পথে যখন বাধা সৃষ্টি হয়, তখন সেটি মিউটেশন ঘটাতে থাকে। কিন্তু যখন সেটি বেশি করে ছড়ায় বা সেটিকে ছড়াতে দেওয়া হয়, তখন সে আর নিজেকে বদলাতে চায় না। বর্তমান রূপটিকেই সে ধরে রাখতে চায়। ওমিক্রন সংক্রমণ হলে যেহেতু খুব বেশি বাড়াবাড়ি বা ক্ষতি হচ্ছে না, তাই মানুষের জন্য করোনার এই রূপটিই সবচেয়ে ভালো। এটিকে আরও বেশি করে ছড়াতে দেওয়া উচিত। তাতে করোনাও চাইবে ওমিক্রন রূপটিকেই ধরে রাখতে। তাতেই শেষ হবে অতিমারি। এমনই মত তাঁদের।
কীভাবে ওমিক্রন ছড়ানোর কথা বলছেন তাঁরা?
এই দুই ভারতীয় বিজ্ঞানীর মত, লকডাউনের মতো বিধিনিষেধ তুলে দেওয়া উচিত। মাস্ক পরার ক্ষেত্রেও এত কড়াকড়ি রাখা উচিত নয়। কেউ চাইলে মাস্ক পরবেন। কেউ পরবেন না। যাঁর যেমন ইচ্ছা।
অন্য বিজ্ঞানীরা কী বলছেন?
রামস্বামীদের এই বক্তব্যের সঙ্গে অনেকেই একমত। যদিও এর পাশাপাশি বড় সংখ্যক বিজ্ঞানীর মতে, এটা পুরোপুরি আগুন নিয়ে খেলা। এর ফল কী হতে চলেছে, আমরা জানি না। তাছাড়া অনেকের মতেই, ওমিক্রন সাধারণ ঠান্ডা লাগার মতো সমস্যা নয়। বিশেষ করে ৬৫ উপরের অনেকের বড় বিপদ ডেকে আনছে ওমিক্রন। তাই তাঁদের মতে লাগামছাড়া হয়ে ওমিক্রনকে নিজের দিকে টেনে আনাটা মোটেই খুব সুবিধার কিছু হবে না।