রুটি শুরু থেকেই ভারতীয় খাবারের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আজও, মনে হচ্ছে লাঞ্চ বা ডিনারের সময় অন্তত একবার রুটি তৈরি করা অনিবার্য। যদিও রুটি তৈরির জন্য অনেক ধরনের ময়দা পাওয়া যায়, তবে প্রতিদিন যে রুটি খাওয়া হয় তা সাধারণত গমের আটা দিয়ে তৈরি করা হয়। এখন যেহেতু এটি আমাদের খাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এটি স্বাস্থ্যকর হওয়ার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রুটি ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ হলেও অন্যান্য পুষ্টির অভাব রয়েছে। এ ছাড়া রুটি তৈরির ভুল পদ্ধতিও এগুলোকে অস্বাস্থ্যকর করে তুলতে পারে। তাই আজকে কিছু সহজ টিপস চেষ্টা করে আমাদের প্রতিদিনের রুটিকে আরও স্বাস্থ্যকর করে তুলুন।
এই পুষ্টিকর জিনিসগুলো গমের আটার মধ্যে মিশিয়ে নিন
প্রতিদিন একই সাধারণ গমের আটার রুটি খাওয়ার পরিবর্তে আপনি এতে আরও কিছু পুষ্টিকর জিনিস অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। আপনার স্বাদ এবং প্রয়োজন অনুসারে, আপনি এতে মেথি বীজের গুঁড়া, তিসি বা কুমড়ার বীজের গুঁড়া, সেলারি, ছোলা এবং সয়াবিনের গুঁড়ার মতো জিনিস যোগ করতে পারেন। এ ছাড়া ঘরে যেসব মৌসুমি সবজি পাওয়া যায় সেগুলোও ময়দায় মেশানো যায়। এটি রুটিগুলিকে কেবল স্বাস্থ্যকরই নয় খুব সুস্বাদু করে তুলবে।
ময়দা মাখার সময় এই বিষয়গুলো মাথায় রাখুন
রুটির জন্য ময়দা মাখার সময় কিছু ছোট বিষয় মাথায় রেখে রুটি আরও স্বাস্থ্যকর করা যায়। কেউ কেউ নরম রুটি তৈরির জন্য ময়দা মাখাতে দুধ, তেল এবং ময়দা ব্যবহার করেন, যা স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। ময়দা মাখাতে সর্বদা সাধারণ হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। এছাড়াও, রুটিগুলিকে আরও পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু করতে, আপনি ময়দা মাখাতে বাটার মিল্ক, চালের জল, বিটরুট বা পালং শাকের পেস্টও ব্যবহার করতে পারেন।
সবসময় প্যানে রুটি বানান
সাধারণত, বাড়িতে রুটি বানানোর ভুল পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। এতে প্যানে রুটি হালকা রান্না করার পর সরাসরি গ্যাসের আঁচে সেঁকে নেওয়া হয়, যা মোটেও ভালো নয়। আসলে, আপনি যখন সরাসরি আগুনে রুটি বেক করেন, তখন রুটি পুরোপুরি সেদ্ধ হয় না। এই কাঁচা রুটিতে পুষ্টিগুণ কম থাকে এবং হজম করাও কঠিন। এমন পরিস্থিতিতে, সঠিক উপায় হল সবসময় শুধুমাত্র তাওয়ায় রুটি সেঁকে নেওয়া। এটি অবশ্যই একটু বেশি সময় নেয় তবে রুটিগুলি স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু।
এই বিষয়গুলোও মাথায় রাখুন
রুটি আরও স্বাস্থ্যকর করতে, আরও কিছু ছোট জিনিস মাথায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, ময়দা মাখার সাথে সাথে কখনই রুটি তৈরি করবেন না। ময়দা মাখার পর 10 থেকে 20 মিনিটের জন্য একপাশে রেখে দিন। এ কারণে ময়দায় ভালো ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয় এবং রুটি শরীরের জন্য উপকারী। এ ছাড়া রুটি রান্নার জন্য নন-স্টিক প্যানের পরিবর্তে মাটি বা লোহার প্যান ব্যবহার করুন। রুটি সংরক্ষণের জন্য অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল ব্যবহার করবেন না।