অনন্ত আম্বানি এবং রাধিকা মার্চেন্টের বিয়ের প্রত্যেকটি সাজসজ্জা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছিল। লেহেঙ্গা থেকে শাড়ি, গয়না থেকে ঘড়ি, সবকিছুই কোটি টাকার অংকের ছিল। এইসব দেখে চক্ষু চরক গাছ হলেও কেনার সাধ্য মোটামুটি কারোরই নেই। তাই মুঠোফোনের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় হতাশ ভাবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আম্বানিদের যে সমস্ত পোশাক ভাইরাল হয়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল রাধিকা মার্চেন্টের হলদি অনুষ্ঠানের ফুলের দোপাট্টা অর্থাৎ ওড়নার ছবি। সম্পূর্ণ ফুল দিয়ে তৈরি এই ওড়নাটি দেখতে লাগছিল অসাধারণ। প্রায় কয়েক লাখ টাকা দিয়ে তৈরি এই ওড়নাটি পরে রাধিকাকে দেখতে লাগছিল অপূর্ব।
(আরও পড়ুন: সারা শরীরে লাল ছোপ, যন্ত্রণা! কোন জিনগত রোগে আক্রান্ত কিম কার্দাশিয়ান)
আপনিও যদি আপনার বিয়েতে রাধিকার মত এই ওড়নাটি তৈরি করতে চান তাহলে মাত্র ২ হাজার টাকা খরচ করলেই আপনি তা করতে পারবেন। সম্প্রতি আরুশি পাওহার নামের একজন ইনস্টাগ্রাম ইউজার একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন যেখানে দেখা যাচ্ছে, কীভাবে মাত্র দু হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি বাড়িতেই বানিয়ে ফেলেছেন রাধিকা মার্চেন্টের মতো অবিকল একই রকম ফুলের ওড়না।
ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, আরুশি দিল্লির চাঁদনী চক এবং মতি নগর সহ একাধিক ফুলের মার্কেটে গিয়ে ফুলের ওড়না দেখেন। কিন্তু প্রায় সব দোকানেই ফুলের ওড়নার দাম ১৫০০০ টাকা বলে। অবশেষে আরুশি নিজেই এই ফুলের ওড়না তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন। ফুল মান্ডি থেকে এক ঝুড়ি ফুল কিনে নিয়ে আসেন তিনি।
ভিডিয়োয় আরও দেখা যায়, আরুশি শুধুমাত্র এবং সুচ সুতো, ফুল ব্যবহার করে কী অভিনব ভাবে ফুলের ওড়নাটি তৈরি করেন। ফুলের ওড়নাটা ঠিক কীভাবে তৈরি করা হবে তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ভিডিয়োয় দেখানো হয়েছে। ওড়নাটি তৈরি করার পর গাঁদা ফুল দিয়ে দোপাট্টার বর্ডার তৈরি করে দিয়েছেন আরুশি।
(আরও পড়ুন: আলসারের সমস্যায় ভুগছেন? ঘরোয়া কয়েকটি জিনিসেই কমতে পারে ভোগান্তি)
গোটা ওড়নাটি তৈরি করতে প্রায় ১০ ঘন্টা লেগেছে, বিরতি নিয়ে আরুশি এটি তৈরি করেছেন প্রায় দুদিন ধরে। সবশেষে হলুদ লেহেঙ্গার সঙ্গে এই ওড়নাটি পরে পোজ দিয়ে ছবি তুলেছেন আরুশি। সত্যি কথা বলতে, এই ওড়নাটি পড়ে আরুশিকে রাধিকার থেকে কোনও অংশে কম সুন্দরী লাগছিল না।
ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখে ফেলেছেন। একজন মন্তব্য করে লিখেছেন, ‘খুব সুন্দর প্রচেষ্টা।’ আবার অন্য একজন লিখেছেন, ‘সামর্থ্য অনুযায়ী ওনাদের পোশাক পরার চেষ্টা মাত্র। তবে আপনাকে খুব সুন্দর দেখতে লাগছে।’