What are Botflies: চোখের পাতা, হাত, ঘাড়ে মাছির বাসা! কীভাবে হতে পারে এই Botfly সংক্রমণ

জীবন্ত এই মাছিগুলি পাওয়া গেল আক্রান্তের শরীরে। অস্ত্রোপচার করে কী জানতে পারলেন চিকিৎসকরা?

শরীরের তিন জায়গায় বাসা বেঁধেছে এই মাছি। (ফাইল ছবি)

অ্যামাজনের অরণ্যে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই এই মারাত্মক সংক্রমণ বাধিয়ে ফেরেন। আমেরিকার এক মহিলা সম্পর্কে এমনই ধারণা চিকিৎসকদের। দিল্লির এক হাসপাতালে বিরল ধরনের পেশির সংক্রমণ বা myiasis পাওয়া গেল তাঁর শরীরে। সোমবার এমনই জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে।

এই সংক্রমণে কী হয়?

আক্রান্ত মহিলার শরীর থেকে তিনটি মাছি পাওয়া গিয়েছে। প্রাণীবিদ্যার ভাষায় এগুলির নাম Botfly। এই জাতের মাছির তিনটি জীবন্ত লার্ভা পাওয়া গিয়েছে আক্রান্তের শরীর থেকে। বিশেষ জাতের এই মাছিটি মানুষের টিস্যুর ফাঁকে ডিম পাড়ে। সেকানে ক্রমশ লার্ভা বড় হতে থাকে। সেই লার্ভা টিস্যুর মধ্যে সংক্রমণ ঘটায়। সাধারণত ক্রান্তীয় অঞ্চলেই এই জাতীয় সংক্রমণ বেশি পাওয়া যায়। 

আমেরিকার এই মহিলার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। চোখের পাতার অস্বস্তি নিয়ে তিনি হাসপাতালে যান। সেখানে চিকিৎসকরা আবিষ্কার করেন এই সংক্রমণটি। 

কেমন সমস্যা হচ্ছিল তাঁর?

আক্রান্ত মহিলা চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, গত ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ ধরে তিনি চোখের পাতায় অস্বস্তি বোধ করতেন। মনে হত, চোখের পাতার ভিতর কিছু একটা চলছে। তিনি আমেরিকায় চিকিৎসকদের পরামর্শ নেন। কিন্তু তাঁরা বুঝতে পারেননি এটি Botfly-এর কাণ্ড। বা পারলেও সেই সংক্রমণ কমাতে পারেননি। তাঁকে কিছু ওষুধ দিয়ে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার পরে আক্রান্ত মহিলা ভারতে আসেন। দিল্লিতে পরিস্থিতি বাড়াবাড়ি হলে তাঁকে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। 

কীভাবে হল এই সংক্রমণ?

জানা গিয়েছে, এর আগে তিনি অ্যামাজনের জঙ্গলে গিয়েছিলেন। সেখানেই এই মাছি তাঁর শরীরে সংক্রমণ ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে আন্দাজ। যদিও কোনও নির্দিষ্ট প্রমাণ নেই, কিন্তু চিকিৎসকদের বিশ্বাস, অ্য়ামাজনের অরণ্য থেকেই এটি সংক্রমণটি হয়।

ভারতে এণন ঘটনা ঘটে কি?

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এটি অতি বিরল ধরনের myiasis। ভারতে খুব বেশি পাওয়া যায় না। একমাত্র গ্রাম বা জঙ্গলের আশপাশের এলাকার শিশুদের মধ্যে কখনও কখনও এই Botfly-এর সংক্রমণ পাওয়া যায়। সাধারণ নাকের ভিতর ঢুকে পড়ে এই মাছিগুলি। তবে আমেরিকার এই মহিলার ক্ষেত্রে যেমন হয়েছে, তেমন সংক্রমণ বড় একটা হয় না।