ভ্যালেনটাইনস ডে’র আগে গরুকে নিয়ে আলোচনার শেষ হচ্ছেই না। এর আগে কেন্দ্রীয় সংস্থা ‘অ্যানিম্যাল ওয়েলফেয়ার বোর্ড অব ইন্ডিয়া’ (এডব্লুবিআই)-এর তরফে দাবি জানানো হয়েছিল, ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ‘গরু আলিঙ্গন দিবস’ হিসাবে পালন করতে হবে। তার পর থেকেই গরু লাইম লাইটে। শুরু হয় এমন প্রস্তাব নিয়ে নানা ধরনের আলোচনা। কেউ বলেন, এটি একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। কেউ আবার এর পিছনের বিজ্ঞানের ভূমিকার কথাও বলেন। যদিও এর পরে কেন্দ্রীয় সংস্থার তরফে এই আবেদন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও থামছে এই প্রসঙ্গ। এবার সেই প্রসঙ্গে চর্চার নতুন বিষয় জুগিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় পশুপালনমন্ত্রী পুরুষোত্তম রূপালা। তাঁর বক্তব্য, গরুর যত্ন নিলে, গরুও আপনার খেয়াল রাখবে।
শনিবার উত্তরপ্রদেশের গ্লোবাল ইনভেস্টর্স সামিট উপলক্ষে দধীচি হলে একটি সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে দুগ্ধজাত দ্রব্য এবং পশুপালনের বিষয়ে আলোচনা করছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। এই সময়েই তিনি বলেন, সারা বিশ্বকে বার্তা দিয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। তিনি বলেছিলেন, যাঁরা গরুর যত্ন নেবেন, গরুও তাঁদের খেয়াল রাখবে। পুরুষোত্তম এর পরে বলেন, শ্রীকৃষ্ণের এই বাণী আজও সমান ভাবে প্রযোজ্য। তিনি সকলকে এই বিষয়ের জন্য এগিয়ে আসারও প্রস্তাব দেন।
কীভাবে গরুর খেয়াল রাখতে হবে? সে বিষয়ে বিশেষ আলোকপাত তিনি করেননি। তবে তিনি জোর দিয়েছেন দুগ্ধ উৎপাদনের বিষয়টিতে। বলেছেন, শ্রীকৃষ্ণের সময় থেকেই ভারতে যত্ন সহকারে গরু পালন করা হয়। সেই ধারা আজও অক্ষুণ্ণ রয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এই গোপালনে বিশেষ ভাবে উঠে আসে উত্তরপ্রদেশের গোকুলের নাম। দুগ্ধজাত দ্রব্যের ব্যবসা এবং পশুপালনে যথেষ্ঠ এগিয়ে রয়েছে উত্তরপ্রদেশ। আগামী দিনে গরুকে যত্নের মাধ্যমে আরও বেশি দুধ উৎপাদন করা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
তবে এখানেই শেষ নয়। এর পরে তিনি গরুর যত্নের জন্য এবং আর বেশি করে দুধ উৎপাদনের জন্য বিনিয়োগকারীদের উত্তরপ্রদেশে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, আগামী দিনে এই রাজ্য দুগ্ধ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্তরেই একেবারে প্রথম সারিতে চলে আসবে। ফলে এখন থেকেই যদি ঠিক করে গরুর যত্ন নেওয়া যায়, গরুও মানুষের খেয়াল রাখবে। তাঁর কথার মধ্যেই ইঙ্গিত রয়েছে, আগামী দিনে দুগ্ধজাত দ্রব্য নিয়ে বড় করে ভাবছে কেন্দ্রের সরকার। এবং দুগ্ধজাত দ্রব্যের রফতানির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক স্তরেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠার পরিকল্পনা নিচ্ছেন তাঁরা।