শুক্রাণুর পরিমাণ কমে গেলে বাড়তে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি! স্পার্ম কাউন্ট কমে গেলে পুরুষদের মধ্যে বেড়ে যেতে পারে ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে যে সব পুরুষের স্পার্ম কাউন্ট কম তাদের হাড় ও জয়েন্টে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ১৫৬ শতাংশ বেড়ে যায়। এ ছাড়াও লসিকায় ক্যান্সারের আশঙ্কা ৬০ শতাংশ, নরম টিস্যুতে ক্যান্সারের ঝুঁকি ৫৬ শতাংশ ও থাইরয়েডে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
ইউ এস-এর উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানিয়েছেন যে যেসব পুরুষের শুক্রাণুর সংখ্যা প্রতি মিলিলিটারে ১৫ লাখের কম, তাদের হাড় ও জয়েন্টের ক্যান্সারের ঝুঁকি ১৪৩ শতাংশ এবং টেস্টিকুলার ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ১৩৪ শতাংশ বেড়ে যায়।
আরও পড়ুন: তেলতেলে বাসন হোক বা পুজোর থালা, নিমেষে ঝকঝকে করে দেবে এই ফলের খোসা!
উটাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক এবং হিউম্যান রিপ্রোডাকশন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার প্রধান লেখক জোয়েমি রামসে জানিয়েছেন যে 'যে সব পুরুষের উর্বরতা কম, তাদের ক্যান্সারের আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। জিনগত ও জীবনধারার পরিবর্তনের কারণেই এই সমস্যা দেখা যায়। জেনেটিক এবং পরিবেশগত এক্সপোজারগুলিও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ানোর জন্য ভীষণ ভাবে প্রভাব ফেলে।
গবেষকরা জানান, এই গবেষণার ফলে ক্যান্সার এবং বন্ধ্যাত্ব উভয় ক্ষেত্রেই সতর্কতা ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। এবং যথাযত সচেতনতা সৃষ্টি করে এই সমস্যা রোধ করা সম্ভব হবে।
গবেষকরা ১৯৯৬ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উটাহ রাজ্যের উর্বরতা ক্লিনিকে অংশ নেওয়া ৭৮৬ জন পুরুষের বীর্য বিশ্লেষণ করে প্রাপ্ত ফলাফল নেন। তারা এই পুরুষদের সাধারণ জনসংখ্যার ৫৬৭৪ উর্বর পুরুষের তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেছেন।
আরও পড়ুন: সারমেয়র অটো রাইড! খুদে পোষ্যর কারনামা দেখলে তাজ্জব বনে যাবেন
গবেষকরা ক্লাস্টার বিশ্লেষণ ও ডেটা বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিভিন্ন জিনের মধ্যে একাধিক ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি মূল্যায়ন করেন এবং তারপরে একাধিক ক্যান্সারের ঝুঁকির একই ধরণের জিনের মধ্যে হওয়ার প্রবণতা মূল্যায়ণ করেন।
এই গবেষণা থেকে স্পষ্টভাবে জানা যায় যে যেসব পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা কম তাদের পরিবারেও বিভিন্ন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি। তবে স্পার্ম কাউন্ট ও ক্যান্সার বিষয়ক এই ধরনের গবেষণা এই প্রথম করা হয়।
প্রধানত জীবনধারা, অতিরিক্ত ধূমপান ও অ্যালোকহল পানের কারণে পুরুষদের স্পার্ম কাউন্ট কমে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই একটু সচেতনা মানলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।