Holi During Lunar Eclipse: দোল পূর্ণিমা আর পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ একই দিনে এই বছর। তবে ভারতে সেই দৃশ্য দেখা যাবে না। কারণ পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ শুরু হবে সকাল ৯টা বেজে ২৬ মিনিটে। তবে চন্দ্রগ্রহণ দেখা না গেলেও এই সময়টুকুতে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি। গ্রহণের সময় কিছু নিয়ম না মানলে অমঙ্গলের আশঙ্কা থাকে। অশুভ প্রভাব ভর করে। এই সমস্ত প্রভাব থেকে নিষ্কৃতি পেতেই জেনে রাখা দরকার চন্দ্রগ্রহণের সময় কী কী করা যায় আর কী কী নয়।
গ্রহণ চলাকালীন কী করা যাবে ও কী করা যাবে না?
১। গ্রহণ চলার সময় পূর্ণিমার পুজো করা যাবে কি না তা নিয়েও অনেকের মনে ধন্দ থাকতে। এক্ষেত্রে বলে রাখা জরুরি, এই সময় পুজো করতে কোনও অসুবিধা নেই। দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে যাবে পূর্ণিমা। তাই তার আগে যে কোনও সময় পূর্ণিমার পুজো করে ফেলা যাবে।
আরও পড়ুন - আবিরের রং ভুলিয়ে দিক সব ভেদাভেদ, দোলে প্রিয়জনকে জানান রঙিন শুভেচ্ছা
২। গ্রহণ চলাকালীন কোনও দরিদ্র ব্যক্তি দেখলে তাকে সাধ্যমতো কিছু দান করা উচিত। এতে সংসার ও পরিবারের মঙ্গল হয়। এ ছাড়াও বাড়িতে দরিদ্রসেবা করালে মঙ্গল হবে বংশের। স্বয়ং চন্দ্রদেবের কৃপা লাভ করা যায় এতে।
৩। গ্রহণ চলার সময় চন্দ্রমন্ত্র জপ করা শুভ পরাগণিত হয়। এই মন্ত্র জপ করলে উচাটন দূর হয়ে মন শান্ত থাকবে। নানা অশুভ প্রভাবের কবল থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সহজে।
৪। গ্রহণের সময় চন্দ্রমন্ত্রের পাশাপাশি শিবমন্ত্র জপ করতে পারেন। যেহেতু মহাদেব মাথায় অর্ধচন্দ্রকে ধারণ করে থাকেন, তাই এই সময় শিবপুজো করলে পুণ্য লাভ হয়।
৫। গ্রহণ চলার সময় তুলসীপাতা ব্যবহার করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। গ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু তুলসীপাতা নিজের কাছে রেখে দিন। এতে অমঙ্গলের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ তৈরি হয়ে থাকবে গ্রহণেথ সময়। রান্না করা খাবারের উপরেও তুলসীপাতা দিয়ে রাখা ভালো। বাড়িতে আচার থাকলে তার মধ্যেও তুলসীপাতা দিয়ে দিন। তাহলে আর চিন্তা নেই।
আরও পড়ুন - ‘কৌলিন্য হারিয়েছে সাহিত্য অ্যাকাডেমি’ বিস্ফোরক শেষবারের প্রাপক স্বপ্নময়
৬। গ্রহণের সময় গর্ভবতী মহিলাদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। যতটা সম্ভব বাইরে কম বেরনোই ভালো। এছাড়াও ধারালো জিনিস ব্যবহার করা কমাতে হবে। গ্রহণ চলার সময় জেগে থাকার চেষ্টা করুন। গ্রহণ শেষ হলে একবার স্নান করে নেওয়া জরুরি।
৭। সবশেষে বলা জরুরি, গ্রহণ চলাকালীন রং খেলতে অসুবিধা নেই। কারণ এই গ্রসণ ভারত থেকে দৃশ্যমান নয়।