ছোট্ট একরত্তিদের প্রায় সবকিছুই মুখে দিয়ে দেখার অভ্যাস রয়েছে। টাকা, খেলনা, পেন, রবার হাতের কাছে সে যা পায়, তা-ই মুখে ঢুকিয়ে চেখে দেখতে ভালোবাসে। আর এমনটা করতে গিয়েই মাঝে মাঝে বিপত্তি বাধিয়ে বসে একরত্তি সোনা। অসাবধানে সেটি গিলেও ফেলে। তখন তাকে নিয়ে রীতিমত হাসপাতালে দৌড়াতে হয়। সম্প্রতি মতো সায়েন্স ডাইরেক্টের একটি রিপোর্টে তেমনই একটি ঘটনা উঠে এল। চার বছরের একরত্তি ছেলে চুম্বকের একটি আস্ত পুঁতি গিলে ফেলে। প্রথমে কেউই তা ধরতে পারেননি। দুই দিন ধরে শিশুটি কোলিক ব্যথার কথা বলছিল। তার অভিভাবকরা তাকে সেইমতো চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। চুম্বকের ব্রেসলেট থেকে ব্যথা হচ্ছে জেনে চিকিফসকরাও অবাক হয়ে যান রীতিমতো। বেশ কয়েকবার বাড়িতে বমি এবং মলত্যাগে সমস্যা হওয়ার পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জার্নাল অফ পেডিয়াট্রিক সার্জারি কেস রিপোর্টস শিরোনামে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটির শিরোনাম ছিল ‘একটি শিশুর পেটে একাধিক চুম্বকের পুঁতি'।
চিকিৎসকরা প্রথমে পরীক্ষা করার পর ধারণা করেন যে শিশুটির তীব্র অ্যাপেনডিসাইটিসের ব্যথা হচ্ছে, সেইমতো তারা অ্যাপেনডিক্সটি বাদও দেয়। এরপর তিন দিন কেটে গেলেও শিশুটির বমি ও পেটে ব্যথা কমছিল না। দুই দিন পরেও যখন উপসর্গ কমছে না, তখন সন্দেহ নিরসন করতেই একটি আল্ট্রাসোনোগ্রাফি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখনই সামনে আসে আসল সমস্যা। জানা যায়, শিশুটির পেটে একটি ব্রেসলেট রয়েছে। পেটের গহ্বরে এটি আটকে ছিল।
গবেষণাপত্রে বলা হয়, 'অভিভাবকরা এর আগে এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে কিনা তা বলতে পারেননি। এরপর অন্ত্রের একটি জরুরি পরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। তারপরেই ল্যাপারোটমি করা হয়'
ল্যাপারোটমিতে পেটের ভিতরে একটি ছিদ্র করা হয়। এবং খুব সতর্কভাবে বার করে আনা হয় ব্রেসলেটটি। দেখা যায়,ষড়ভুজের আকারে ১৮ টি চুম্বকের পুঁতি দিয়ে তৈরি একটি হার ছিল পেটে। অস্ত্রপচারের পর ছিদ্রটি সেলাই করে দেন বিশেষ পদ্ধতিতে।
গবেষণায় উল্লেখ করা হয়, একটি চুম্বকের পুঁতি হলে তা সহজেই খাদ্যনালির মধ্য দিয়ে চলে যায়। এতে তেমন ঝুঁকিও থাকে না। কিন্তু বেশ কয়েকটি চুম্বক দিয়ে তৈরি মালা পেটে গেলে তাতে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup