শুক্রবার গোটা মহারাষ্ট্র জুড়েই দারুণ ধুমধাম করে উদ্যাপন করা হল জন্মাষ্টমী। তারই অংশ হিসাবে খেলা হল দহি হান্ডি। আর সেই দহি হান্ডিই ডেকে আনল বিপদ। এই খেলা খেলতে গিয়ে আহত হলেন ১১১ জন গোবিন্দ। তাঁদের মধ্যে ২৩ জনকে ভর্তি করতে হল হাসপাতালে।
শুক্রবার মুম্বই শহরে দারুণভাবে পালন করা হয় দহি হান্ডি প্রতিযোগিতা। এবারের প্রতিযোগিতার আকর্ষণও ছিল একটু বেশি। কারণ বৃহস্পতিবার, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে রাজ্য বিধানসভায় ঘোষণা করেছেন যে, সরকার দহি হান্ডিকে দুঃসাহসিক খেলার মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ ‘অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস’ ট্যাগ পাওয়ার ফলে দহি হান্ডি-তে যে সব তরুণ তরুণী অংশগ্রহণ করছেন, তাঁদের পক্ষে ক্রীড়া কোটার অধীনে সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করার দরজা খুলে গেল।
এখানেনই শেষ নয়, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে আরও অনেক পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। যেমন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার তরফে দহি হান্ডি প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের জন্য ৫৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে, তেমনই অবিনাশ যাদব বিজেতাদের জন্য ১১ লক্ষ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। যে দল প্রতিযোগীতায় বিজয়ী হবে, তাঁরা স্পেন সফরেরও সুযোগ পাবেন।
তাই এবারের উৎসব নিয়ে প্রতিযোগীদের মধ্যে উত্তেজনা এবং আগ্রহ ছিল চরমে। তারই মধ্যে কোথাও কোথাও ঘচল দুর্ঘটনা। বিএমসি-র তথ্য অনুসারে, হান্ডি ভাঙার জন্য পিরামিড তৈরি করতে গিয়ে ১১১ জন গোবিন্দ আহত হন। তাঁদের মধ্যে ৮৮ জন রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ২৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জেজে হাসপাতালের চিকিৎসক পল্লবী সাপলে জানিয়েছেন, ‘দুই রোগীকে আনা হয়েছে। একজনের পায়ে আঘাত লাগলেও অন্যজনের হাতে, বুকে ও পিঠে আঘাত লেগেছে। পরীক্ষা চলছে।’ অন্যান্য রোগীদের নায়ার, কেইএম, কুপার, পোদ্দার, কান্দিভলি আম্বেদকর, সায়ন, যোগেশ্বরী ট্রমা এবং অন্যান্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিএমসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভর্তি হওয়া রোগীদের অবস্থা স্থিতিশীল।