কোভিডের টিকার ক্ষেত্রে বড় ধাক্কা। অনেকেই আশাবাদী ছিলেন দ্রুত আসতে চলেছে নাক দিয়ে টানার মতো কোভিড টিকা বা Nasal Spray Vaccine। কিন্তু সেই আশায় জল পড়ে গেল। এই টিকার ভবিষ্যৎ নিয়েও বড় প্রশ্নচিহ্ন পড়ে গেল এর পরে।
নাক দিয়ে টানার মতো কোভিডের টিকা নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই কাজ চলছে। অনেকেই মনে করেন, এই টিকা বাজারে এলে তাতে টিকাকরণের হার বাড়বে। কারণ এখনও পর্যন্ত বহু মানুষেরই সূচ ফুটিয়ে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ ভয় আছে। আর সেই কারণেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে নাক দিয়ে টেনে নেওয়ার মতো টিকা। এমনই মত তাঁদের। এবং সেই লক্ষ্যে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছিল কাজ। কিন্তু প্রথম পর্যায়ের পরীক্ষার ক্ষেত্রে বড় বাধা পেল এই টিকার কাজ।
কী হয়েছে সম্পর্তি? জানা গিয়েছে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি নাক দিয়ে টানার মতো টিকাটি পরীক্ষার পর্যায়ের বড় ধাক্কা খেয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই টিকা যতটা নিরাপত্তা দিতে পারবে বলে মনে হয়েছিল, তার অনেকটাই কম দিতে পারছে। সূচ ফুটিয়ে নেওয়া টিকার চেয়ে বহুলাংশেই কম নিরাপত্তা দিচ্ছে এই টিকা। তাই করোনা প্রতিরোধে এটি কতটা কার্যকর হবে বা আদৌ হবে কি না, তা নিয়ে বেশ সংশয় রয়েছে।
অথচ গোড়ায় এর উলটোটাই মনে করা হয়েছিল। তখন ভাবা হয়েছিল, যেহেতু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই কোভিডের জীবাণু নাক দিয়ে প্রবেশ করেন, এবং তার পরে শ্বাসনালী আর শুসফুসে সংক্রমণ ঘটায়, তাই নাক দিয়ে টানার মতো টিকার কর্মক্ষমতা বেশি হবে, এটি কোভিডের জীবাণুর বিরুদ্ধে বেশি সক্রিয় ভাবে লড়াই করবে।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হল না। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি টিকা খুব বেশি কাজ করছে না বলে জানানো হল। যদিও ভারত এবং চিনে ইতিমধ্যেই এই টিকার কাজ চলছে। সেগুলি এখনও পরীক্ষানিরীক্ষার স্তরে রয়েছে। টিকা নির্মাতারা বলেছেন, তাঁরা এই টিকা থেকে ভালো ফলও পাচ্ছেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কী হতে চলেছে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে বহু মহলেই। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার বানানো টিকাটি ধাক্কা খাওয়ায় এই কথাগুলি উঠে আসছে।
চিনে তৈরি টিকাটি ইতিমধ্যেই নেবুলাইজারের সঙ্গে দেওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তার তথ্য আর কয়েক দিনের মধ্যেই হাতে আসবে। ভারতে তৈরি ভারত বায়োটেকের তথ্য আসাও বাকি আছে। সেগুলি এলে বোঝা যাবে এই টিকার ভবিষ্যৎ।