এমনিতেই তেজপাতার অনেক গুণ। রান্নায় স্বাদ এবং গন্ধ বাড়াতে এই পাতা ব্যবহার করা হয়। তার পাশাপাশি আরও বহু গুণ আছে এই পাতার।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রেও এই পাতার বহু গুণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টি-নিউরালজিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে এর মধ্যে। ফলে বহু ধরনের রোগবালাই থেকে মুক্তি দিতে পারে এই পাতার নানা উপাদান।
কিন্তু হালে বিজ্ঞানীরা বলছেন, তেজপাতার চেয়েও বেশি উপকারী হতে পারে তেজপাতার তেল। শুনে অবাক লাগলেও, আসলে এই তেল বানিয়ে নেওয়া যায় বাড়িতেই।
কীভাবে বানাবেন তেজপাতার তেল:
- প্রথমে তেজপাতা ভালো করে পরিষ্কার করে নিন।
- কোনও ধুলো, মাটি, পোকামাকড় যেন না থাকে পাতায়।
- পরিষ্কার পাত্রে রাখুন এই তেজপাতা। কাচের পাত্র হলে সবচেয়ে ভালো হয়।
- আমন্ড তেল দিয়ে পাত্রটি ভর্তি করে দিন।
- এই অবস্থা এয়ার টাইট করে ছিপি বন্ধ করে দিন এবং ৪০ দিন মতো রেখে দিন।
- ৪০ দিন পরে তেল বার করে নিন। তেজপাতা তেল এবার ব্যবহার করতে পারবেন।
তেজপাতা তেল কীভাবে ব্যবহার করলে কী কী উপকার পাবেন:
খাবারে ২-৪ ফোঁটা মিশিয়ে দিন। রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়বে। খাবারের সুগন্ধও বাড়বে।
কপালে আর আর কপালের দু’পাশে এই তেলের মালিশ করুন। মাথাব্যথা, মাইগ্রেনের সমস্যা কমবে।
দু’হাতে এই তেল মাখুন। এতে নার্ভের সমস্যা অনেক কমে যাবে।
রোজ ২-৩ ফোঁটা করে তেজপাতা তেল খান। এতে স্মৃতিশক্তি বাড়বে।
দুই নাসারন্ধ্রে এক ফোঁটা করে এই তেল রাতে দিয়ে দিন। শ্বাসনালীর সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটা কমে যাবে।
চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে? এই তেলের মালিশ করুন। অনেক খানি কমে যাবে।