পরবর্তী খবর
বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Recipe: পয়লা বৈশাখে বানিয়ে ফেলুন ঠাকুরবাড়ির দুই পদ, ভাতের কোফতা আর হেমকণিকার পায়েস
শোনা যায়, ঠাকুরবাড়ির সকলেই নাকি ছিলেন ভোজনরসিক। বাড়ির গিন্নিরা এমন সব পদ রাঁধতেন, তাতে ভরে থাকত সকলের মন। বিশেষত ইন্দিরা দেবী। নিজে যে দারুণ রাঁধতেন, তাই নয়, কোনও ভালো খাবার খেলেই তার রেসিপি লিখে রাখতেন।
সেই খাতা তিনি দিয়ে গিয়েছিলেন পূর্ণিমা ঠাকুরকে। কালে কালে সে খাতা থেকেই ছড়িয়ে পড়েছে ঠাকুরবাড়ির নানা পদ।
এবারের পয়লা বৈশাখে আপনিও বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন ঠাকুরবাড়ির এমন কিছু পদ। দু’টি বিশেষ পদের সন্ধান রইল এখানে। ভাতের কোফতা আর হেমকণিকার পায়েস।
ভাতের কোফতা
কী কী লাগবে
- গোবিন্দ ভোগ চাল: আধ কাপ
- খোয়া ক্ষীর: ৫০ গ্রাম
- কেশর দুধ: ২ চা চামচ
- দারচিনি, এলাচ, জায়ফল গুঁড়ো: ২ চা চামচ
- কিসমিস: এক কাপের ৪ ভাগের ১ ভাগ
- ঘি: ২ চা চামচ
- সুজি: ১ কাপ
- দই: এক কাপের ৪ ভাগের ৩ ভাগ
- কাঁচা লঙ্কা কুচি: ২ চা চামচ
- নুন: ১ চা চামচ
- আদা বাটা: ৩ চা চামচ
- লঙ্কা বাটা: ২ চা চামচ
- সর্ষের তেল: ১ কাপ
- সাদা তেল: ২ চা চামচ
- ময়দা: আধ কাপ
কীভাবে বানাবেন
- প্রথমে ভাত বানিয়ে ভালো করে চটকে নিন।
- এর মধ্যে সবুজ লঙ্কা, খোয়া ক্ষীর, কেশর দুধ ও ঘিয়ে ভাজা কিসমিস কুচি ছড়িয়ে দিন ভালো করে মেখে নিন।
- আদা ও লঙ্কা পেস্ট করতে হবে। এটিতে নুন দিয়ে দইয়ের সঙ্গে মেশাতে ও ফেটাতে হবে।
- সব কিছু একসঙ্গে মেখে ছোট ছোট বল বানিয়ে নিতে হবে। মনে রাখবেন, বল পাকানোর সময়ে হাতে তেল লাগিয়ে নিতে হবে।
- এবার ময়দায় বলগুলি মাখিয়ে নিন। তার পরে দইয়ের মিশ্রণে মাখিয়ে নিন। এবার সুজির মধ্যে পাকিয়ে রাখুন।
- কিছু ক্ষণ রেখে তেল গরম করে তাতে ভেজে নিন। এবার পরিবেশন করুন।
হেমকণিকার পায়েস
কী কী লাগবে
- দুধ: ১ লিটার
- খোয়া ক্ষীর: ২০০ গ্রাম
- গোবিন্দভোগ চালের গুঁড়ো: আধ কাপ
- ঘি: ২ চামচ
- কাজুবাটা: আধ কাপ
- জাফরান: গোটা ১০
- এলাচের গুঁড়ো: আধ চামচ
- চিনি: স্বাদমতো
- তেজপাতা: ১টি
- গোটা কাজু: ৮-১০টি
- কিসমিস: ১০-১২টি
কীভাবে বানাবেন
- প্রথমে খোয়া ক্ষীর গুঁড়ো করে ওর সঙ্গে অর্ধেকটা গোবিন্দভোগ চালের গুঁড়ো, কাজুবাটা ও সামান্য ঘি দিয়ে ভালো করে মেখে, নাড়ুর মতো পাকিয়ে নিন।
- দুধ ফুটিয়ে একটু ঘন করে নিন। ওর মধ্যে বাকি গোবিন্দভোগ চালের গুঁড়ো, তেজপাতা, গোটা কাজু, কিসমিস, দুধে ভিজিয়ে রাখা জাফরান, ১ চা চামচ ঘি ও চিনি ভালো করে মিশিয়ে নিন।
- ১৫ মিনিট মাঝারি আঁচে অনবরত নেড়ে যান এই মিশ্রণ।
- দুধ ঘন হয়ে এলে খোয়া ক্ষীরের নাড়ুগুলি দিয়ে আরও ২ মিনিট ফুটিয়ে শুকনো ফল ছড়িয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে হেমকণিকার পায়েস।
- ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে পরিবেশন করতে পারেন এটি।