পরিসংখ্যান বলছে, নানা কারণে পুরুষের সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা কমছে। অনেকেই হয়তো বিষয়টি কম বয়সে টের পান না। কিন্তু তাঁদের শুক্রাণু উৎপাদনের হার এবং সুস্থ শুক্রাণু তৈরির ক্ষমতা ক্রমশ কমতে থাকে। এই সমস্যার পিছনে বেশ কয়েকটি কারণের কথা বলছেন চিকিৎসকরা। তাঁদের বক্তব্য, জীবনযাত্রায় কয়েকটি বদল এই সমস্যা কমিয়ে দিতে পারে।
কোন কোন নিয়ম মেনে চলার কথা বলছেন তাঁরা?
মদ্যপান এবং ধূমপানের অভ্যাস (Drinking and Smoking Problem): অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে থাকে। তার ফলে কমে সহবাসের ইচ্ছা। আর ধূমপানের ক্ষতি তার চেয়ে অনেক বেশি। এতে সুস্থ এবং সবল শুক্রাণু উৎপাদনের ক্ষমতা একেবারে কমে যায়। এই দু’টি অভ্যাস পুরুষের বন্ধ্যত্ব ডেকে আনার সবচেয়ে বড় কারণ।
নিজে নিজে ওষুধ খাওয়া (Self Medicate): ভারতে অনেকের মধ্যেই এই অভ্যাস রয়েছে। কোনও একটি সমস্যা হলেই, নিজের ইচ্ছায় ওষুধ খাওয়া। বহু ওষুধের নানা ধরনের পার্শ্বাপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। তার ফলে বেড়ে যেতে পারে বন্ধ্যত্বের হার। যে কোনও ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পারমর্শ নিন। তিনিই বলে দিতে পারবেন, সেই ওষুধ অন্য কোনও সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে কি না।
মানসিক চাপ (Too Much Stress): মানসিক চাপ পুরুষের যৌনক্ষমতা মারাত্মক হারে কমিয়ে দিতে পারে। মানসিক চাপের কারণে যৌনসম্পর্কের ইচ্ছা তো চলে যেতেই পারে, তার পাশাপাশি কমে যেতে পারে সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতাও। এই সমস্যা কমাতে মানসিক চাপ থেকে বেরোতেই হবে। দরকারে মেডিটেশন বা ধ্যান করতে পারেন। তা না হলে যোগাসনেও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
সারা দিন বসে বসে কাটানো (Sedentary Lifestyle): করোনাকালে বেড়ে গিয়েছে বাড়ি থেকে কাজ। ফলে অনেকেই সারা দিন বাড়িতে বসে থাকেন। দীর্ঘ ক্ষণ কেটে যায় কম্পিউটারের সামনে। এর ফলে শরীরে রক্ত চলাচলের মাত্রা কমে। এটি পুরুষের ক্ষেত্রে নানা ধরনের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। হৃদরোগের আশঙ্কা তো বেড়েই যায়। পাশাপাশি কমে যায় বাবা হওয়ার ক্ষমতাও।