শুধু হাঁচিও যে প্রাণ নিতে পারে, তার প্রমাণ মিলল এবার। হাঁচতে গিয়ে হঠাৎ করেই ব্রেন স্ট্রোক হল আমেরিকার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ার। স্যাম মেসিনা নামের ওই পড়ুয়া একবার হাঁচতেই তাঁর নাক থেকে রক্ত পড়তে শুরু করে। যায় যায় অবস্থার ঠিক আগের মুহূর্তে নিজের মা ও বান্ধবীকে ডাকতে সমর্থ হয় স্যাম। সংবাদমাধ্যম দ্য সানকে স্যাম বলেন, হাঁচি শুরু হতেই তাঁর নাক থেকে রক্তের ফোঁটা বেরিয়ে আসে। যেন মস্তিষ্কের ভিতরে কিছু ফেটে গিয়েছে আর নাক থেকে রক্ত পড়তে শুরু করেছে। আলাবামা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া স্যাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এই ঘটনার পর আমার মারা যাওয়ার কথা ছিল।
আরও পড়ুন: মৌমাছি থামিয়ে দিল বিমান, চার ঘণ্টা উড়তেই পারল না! দেখুন ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: রোজ ডিম মাছ মাংস না খেলে হয় না? অতিরিক্ত প্রোটিন খেয়ে কোন বিপদ ডাকছেন জানেন
এই অবস্থায় কোনওরকমে মা ও বান্ধবীকে ডাকৈঞ স্যম। এরপরেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন স্যাম। জ্ঞান ফেরার পর দেখা স্যামের হাত টা ঝনঝন করছে। এছাড়াও ঝাপসা হয়ে গিয়েছে চোখের দৃষ্টি। কারণ হিসেবে জানা যায়, ণার মস্তিষ্ক থেকে রক্তক্ষরণ হওয়ার ফলেই এমনটা ঘটেছে। ডাক্তাররা দ্রুত জরুরি অস্ত্রোপচার করে বাঁচিয়ে তোলেন তাঁকে। তবে, স্যাম আর কোনও সমস্যায় ভুগছেন কিনা জানতে আরও পরীক্ষা চালানো হয়। তখনই দেখা যায় আর্টেরিওভেনাস ম্যালফরমেশনএ ভুগছেন স্যাম। আর্টেরিওভেনাস ম্যালফরমেশন বা এভিএম একটি বিশেষ স্নায়বিক অবস্থা এই অবস্থায় মস্তিষ্কের ধমনী এবং শিরাগুলির সঙ্গে সংযোগকারী রক্তনালীগুলি একটি জট সৃষ্টি করে।
এনএইচএস অনুসারে, এটি একটি বিরল অবস্থা এবং জনসংখ্যার এক শতাংশেরও কম ক্ষেত্রে ঘটে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এভিএম প্রায়ই বছরের পর বছর ধরে শরীরে সুপ্ত থাকে। সনাক্ত করা যায় না। যতক্ষণ না তারা ফেটে যায় এবং মস্তিষ্কে রক্তপাত ঘটায়, বোঝা যায় না এদের অস্তিত্ব। আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অফ নিউরোলজিক্যাল সার্জনদের মতে, এই এভিএম ফেটে যাওয়ার ফলে স্যামের একটি ছোট স্ট্রোক হয়েছিল। এর থেকেই দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায় ওঁর। তবে ২৭ দিন হাসপাতালে থাকার পর অবশেষে সুস্থ হয়েছেন স্যাম। তিনি যে সুস্থ তা এখনও নিজেই বিশ্বাস করতে পারছেন না।