এয়ারপোর্টে ঢোকার পরেই শুরু হয় পরীক্ষা করা। সব ব্যাগ পরীক্ষা করা হয়ে গেলে হাতের ব্যাগ বাদে সব চলে যায় বিমান সংস্থার জিম্মায়। তারাই সেই ব্যাগ ফ্লাইটে তুলে দেয়। নির্দিষ্ট গন্তব্যে নামার আগে সেই ব্যাগ নিয়ে কী কী হয়, তা বোঝাও যায় না। তাই এবার সেই ঘটনাবলি দেখতেই একটি বিশেষ কায়দা করলেন এক যাত্রী। নিজের লাগেজের সঙ্গে লাগিয়ে দিলেন একটি ছোট্ট ক্যামেরা। ব্যাগকে হাতছাড়়া করার পর সেটি কোন পথ ঘুরে ফ্লাইটে উঠছে বা কোন পথেই বা পৌঁছাচ্ছে যাত্রীর কাছে, সবই রেকর্ড হয়ে রইল। থমাস মিলার নামে ওই ব্যক্তি তাঁর টিকটক প্রোফাইলে ওই ভিডিয়ো পোস্ট করেন। সেখানেই গত মাসে ওই ভিডিয়োর মাধ্যমে লাগেজের যাত্রাপথটি দেখা যায়।
আরও পড়ুন: মিলনের কতদিন পর প্রেগনেন্সি টেস্ট করলে সঠিক ফল আসে? রইল বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
আরও পড়ুন: ওজনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মনখারাপ, ইমোশনাল ইটিংই বড় ‘ভিলেন’! আদতে কী এটা
তবে থমাস তার প্রোফাইলে শুধুই ভিডিয়ো ক্লিপটি শেয়ার করেননি। বরং তার ক্যাপশনে লেখেন, এবার দেখা যাক, বিমানবন্দর আমার ব্যাগটা নিয়ে কী করে। মিলার তাঁর ব্যাগের নিচের দিকে ওই ছোট্ট ক্যামেরাটা লাগিয়ে দেন। এরপর দেখা যায়, মিলার ব্যাগটি নিয়ে গিয়ে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে দিলেন। সেখান থেকেই ব্যাগটি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সামলাবে। এরপর দেখা যায়, ব্যাগটি একটি কনভেয়র বেল্টের ( এই বেল্টের উপর ঘুরে ঘুরে ব্যাগগুলি নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছায়) উপরে রাখা হল। সেখান থেকে দেখতে দেখতে একটি বড় ঘরে পৌঁছায় এই ব্যাগ। তরপর মেশিন থেকে বেরিয়ে একটি নিরাপত্তা পরীক্ষা করা হল। এরপর আবার তুলে দেওয়া হল কনভেয়র বেল্টে। সেখান থেকে পরবর্তী গন্তব্য বিমানের পেটের ভিতর।
প্রসঙ্গত, বিমানে করে যাতায়াতের সময় নিজের ব্যাগ নিয়ে অনেকেই বেশ দুশ্চিন্তায় থাকেন। অনেকসময় যখন ব্যাগটি যাত্রার শেষে হাতে পান, দেখা যায়, বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই নিয়ে অভিযোগও করেন অনেকে। এমনকি ব্যাগা হারিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে থাকে প্রায়ই। তাই এই ক্যামেরা লাগিয়ে কৌতুহল মিটিয়ে নিলেন ওই যাত্রী।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup