এভাবে বিপদে পড়লে ক’জনই বা সহনাগরিকের প্রাণ বাঁচাতে আসেন! অসুস্থ অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থেকে মারা যাচ্ছেন ব্যক্তি, সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি কেউ— এমন ঘটনা তো অনেকের ক্ষেত্রেই শোনা যায়। সেখানে একটি বাঁদরের প্রাণ সংশয় হলে, তাকে বাঁচানোর তো প্রশ্নই ওঠে না।
যদিও হালে এমনই ঘটেছে তামিলনাড়ুতে। ঘটনাটি সামান্য পুরনো হলেও সেটির video হালে বিরাট Viral হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কী ঘটেছে সেখানে?
তামিলনাড়ুর পেরামবালুর কাছে ছোট্ট জনপদের ঘটনা। সেখানে জঙ্গল থেকে ঢুকে পড়ে একটি বাঁদর। তাতে স্থানীয় কুকুরের দল তাকে তাড়া করে। তাতেই ভয় পেয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয় বাঁদরটি। এমনই জানা গিয়েছে Video থেকে।
সেই সময়ে ওখানে উপস্থিত ছিলেন পেশায় ট্যাক্সিচালক প্রভু। ৪২ বছরের এই ব্যক্তি ছুটে যান বাঁদরটির প্রাণ বাঁচাতে। আক্রান্ত বাঁদরটি তখন ডাল থেকে ঝুলে ছিল। তাকে কোনও রকমে লুফে নেন প্রভু।
এর পরে বাঁদরটিকে মাটিতে শুইয়ে তিনি ক্রমাগত বুকে ধাক্কা দিতে থাকেন। তার সঙ্গে মুখে মুখ ঠেকিয়ে জোরে ফুঁ দিয়ে কৃত্রিমভাবে শ্বাস শুরু করার প্রক্রিয়া চালাতে থাকেন তিনি। চিকিৎসার ভাষায় যাকে বলে Cardiopulmonary Resuscitation (CPR), সেই প্রক্রিয়ায় বাঁদরটির প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন তিনি।
এর আগেই বাঁদরটির হৃদযন্ত্র এবং শ্বাস বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু প্রভু তাতে থেমে যাননি। তিনি চেষ্টা চালিয়েই যেতে থাকেনয়। দীর্ঘ ক্ষণ ধরে চেষ্টা চালানোর পরে ধীরে ধীরে বাঁদরটির শ্বাসযন্ত্র চালু হয়, হৃদযন্ত্রও আবার কাজ করতে থাকে। বেশ কিছু ক্ষণ পরে বাঁদরটি আবার চোখ মেলে তাকায়।
পরে প্রভু বাঁদরটিকে বনদফতরের হাতে তুলে দেন। জানা গিয়েছে, সেই বাঁদরটি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছে।
এভাবে শুধু বাঁদর বা অন্য প্রাণীর নয়, মানুষেরও প্রাণ বাঁচানো যেতে পারে। চিকিৎসকের থেকে শিখে নিলে বিপদে কাজে লাগতে পারে এই শিক্ষা।