সম্প্রতি বিশিষ্ট সঙ্গীতকার কেকে-র মৃত্যুর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর বেশ কিছু চিকিৎসক মন্তব্য করেছেন, কেকে অসুস্থ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যদি সিপিআর ব্যবহার করা হত, তবে এই প্রাণহানি আটকানো যেতে পারত।
এখন প্রশ্ন হল এই সিপিআর পদ্ধতিটি কী?
Cardiopulmonary Resuscitation (সিপিআর) হল এমন একটি জীবনদায়ী পদ্ধতি। মানুষের হৃদযন্ত্র ও শ্বাসযন্ত্র কাজ করা বন্ধ হয়ে গেলে, এই পদ্ধতির মাধ্যমে শরীরে রক্ত ও অক্সিজেন চলাচল স্বাভাবিক করা যায়।
হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। কোনও ব্যক্তির হৃদপিন্ডে যদি রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, তখন সেই ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হন।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোশিয়েশনের তরফে বলা হচ্ছে, সিপিআর পদ্ধতি প্রয়োগ করলে হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির বাঁচার সম্ভাবনা দ্বিগুন থেকে তিনগুন পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। সিপিআরের প্রধান লক্ষ হল, চিকিৎসা শুরুর আগে পর্যন্ত হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তির হৃদপিন্ডে রক্তপ্রবাহ সচল রাখা।
চিকিৎসাশাস্ত্রে প্রধানত দু’ধরনের সিপিআরের কথা বলা হয়েছে:
১. হাতের মাধ্যমে সিপিআর (Hands Only CPR): এই পদ্ধতিতে রোগীর বুকের উপর প্রচন্ড গতিতে চাপ সৃষ্টি করে রক্তপ্রবাহকে সচল রাখা হয়। চিকিৎসাশাস্ত্রের পরিভাষায় এই পদ্ধতিকে চেষ্ট কমপ্রেসনও বলা হয়ে থাকে। এই পদ্ধতি রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া অনেক ক্ষণ আটকে রাখে।
২. মুখের মাধ্যমে সিপিআর (Traditional CPR with breaths): এটি একটি চিরাচরিত পদ্ধতি, যেখানে বুকে চাপ দিয়ে ও রোগীর মুখে মুখ লাগিয়ে জোর করে বাতাস ভিতরে ঠেলা হয়। এর মাধ্যমে রোগীর ফুসফুসে অক্সিজেন পৌঁছোয়। এই ধরনের সিপিআর পদ্ধতিতে সংকটজনক মুহূর্তে রোগীর শরীরে দীর্ঘক্ষণ অক্সিজেনের প্রবাহ বজায় থাকে।