বসন্ত মানেই রং, আর রং মানেই যে উৎসবকে বোঝায় সেটা হল দোল। আবির, পলাশ, রঙে মেতে ওঠে সবাই। হাতে হাতে ঘরে লাড্ডু, ভাং, ঠাণ্ডাই, ইত্যাদি। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ধরনের দোল খেলা হয়। সে বৃন্দাবনের দোল হোক বা শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব হোক বা বারাণসীর মাসান হোলি। ওহ, আচ্ছা আপনি এই শেষ নামটা শোনেননি বললেন? বা কেবল নাম শুনেছেন বিষয়টা কী জানেন না। তাই তো? দোলের আগে জেনে নিন শিব ঠাকুরের পছন্দের এই উৎসবের খুঁটিনাটি।
এই দোল থুড়ি হোলি খেলায় রাধা, কৃষ্ণ নেই। নেই কোনও প্রেম ভাব। যা আছে সেটা হল ভয়াল সৌন্দর্য। এটি শিব ঠাকুরের উৎসব। এখানে একমাত্র বিরাজ করেন দেবাদিদেব মহাদেব। তাঁর ইচ্ছে, আশীর্বাদে বারাণসীর মণিকর্নিকা ঘাটে মেতে ওঠেন ৮ থেকে ৮০ সকলেই। তবে আপনি যদি প্রথমবার এখানে যান, আপনি কিন্তু শিউরে উঠতেই পারেন। কেন? কারণ এখানে দোল খেলা হয় চিতাভস্ম দিয়ে। হ্যাঁ, আবির নয়, এ চিতাভস্মের হোলি। মানুষের দেহ পোড়া ভস্ম দিয়ে রাঙানো হয় একে অন্যকে।
হোলি বা দোল বলতেই আমাদের মনে যেটা আসে সেটা হল রঙিন উৎসব। সুন্দর, উল্লাস, সুন্দর একটি উৎসব। বারাণসীর এই বিশেষ উৎসবে আনন্দ, উল্লাস, ইত্যাদি সব আছে। নেই কেবল রং। এখানে দোলের রং ফ্যাকাশে। এদিন আকাশ বাতাসে ভাসে কেবল ছাই। শিবের উপস্থিতিতে চলে হোলি খেলা।
নিশ্চয় ভাবছেন কারা খেলে এই দোল? এখানে মূলত অঘোরি সাধু সন্ন্যাসীরা দোল খেলেন। চলে মরার খুলির পুজো। যোগ দেন স্থানীয়রা এবং অন্যান্য সাধুরাও। সে এক ভয়াল রূপ। তবে আপনি আমি সেটা চাক্ষুষ করতেই পারি। বরং বলে রাখা ভালো এই সময় বেনারসে হোটেল পাওয়া দায় হয়ে যায়। এতটাই ভিড় থাকে। তবে চটজলদি প্ল্যান বানিয়ে যাবেন নাকি সাক্ষী থাকতে এই অদ্ভুত খেলার!