সূর্যের গায়ে দেখা মিলল এক বিশাল কালো গর্তের। সূর্যের দক্ষিণ মেরুর দিকে তৈরি হয়েছে এই ভয়ানক কালো গর্ত। সম্প্রতি আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এই গর্তটি আবিষ্কার করেন। করোনল হোল নাম দেওয়া হয়েছে এই বিশাল গর্তকে। বিজ্ঞানীদের কথায়, সূর্যের একটি বড় অংশ বেমালুম অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে। তার ফলেই দেখা দিয়েছে এত বড় গর্ত। আয়তনে ঠিক কতটা বড় সূর্যের দক্ষিণ মেরুর এই কালো গর্ত?
আরও পড়ুন: সংস্থায় দেদার ছাঁটাই, ‘জবলেস জুসওয়ালা’ হয়েই বাজিমাত দুই বন্ধুর, শুরু কীভাবে
আরও পড়ুন: ফোনের অ্যাপই ধরবে চোখের রোগ, বানিয়েছে ১০ বছরের শিশু, কীভাবে শুনলে চমকে যাবেন
বিজ্ঞানীদের কথায়, পৃথিবীর তুলনায় প্রায় ২০ গুণ বড়ো এই গর্ত। তবে ভয়ের আসল কারণ অন্য জায়গায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বিশাল গর্তের কারণে তীব্র সৌরঝড়ের সৃষ্টি হতে চলেছে।
ইতিমধ্যেই এই তীব্র সৌর ঝড়ের আশঙ্কা দেখে আমেরিকার ফেডেরাল এজেন্সি এনওএএ একটি সতর্কতা জারি করেছে। অস্ট্রেলিয়ার একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই গর্তের কারণে তৈরি হওয়া সৌর ঝড় প্রতি ঘণ্টায় ২.৯ মিলিয়ন বেগে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। শুক্রবার পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে সৌর ঝড়, এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। এই সৌর ঝড়ের গতিবিধির উপর ইতিমধ্যেই কড়া নজরদারি রাখছেন বিজ্ঞানীরা। শুধু তাই নয়, বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, একনাগাড়ে সূর্য থেকে পৃথিবীতে তড়িতাহত কণা আসতে থাকলে এই গ্ৰহের চৌম্বকীয় ক্ষেত্র, মোবাইল ফোন, স্যাটেলাইট ও জিপিএস ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়বে।
আরও পড়ুন: ওজন বাড়ছে? সকালে পেটের ঝামেলা? একটা বাদামেই মিলবে সব বড় সমস্যার সুরাহা
আরও পড়ুন: ৭৫-এ কি বিছানায় সক্ষম থাকা যায়? ৯২-এরপর কোন সুখ পেতে বিয়ে? কী বলছেন চিকিৎসক
গত ২৩ মার্চ নাসার সোলার ডায়নামিকস অবজারভেটরি এই কালো গর্ত আবিষ্কার করে। সূর্যের দক্ষিণ মেরুতে তৈরি হওয়া এই গর্ত যেকোনও সময় সূর্যের গায়ে দেখা দিতে পারে বলেই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। সাধারণত সূর্যের যেকোনও অংশেই এই গর্ত দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দুই মেরুতে তৈরি হলে তা অনেক বেশি স্থায়ী হয়। দক্ষিণ মেরুতে তৈরি এই গর্ত তাই বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup