মুসাহিল শুক্লার সঙ্গে সম্পর্কের কারণে স্বামী সৌরভ রাজপুতকেও খুন করতে হাত কাঁপেনি মুসকান রাস্তোগির। এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে বর্তমানে জেলবন্দি সাহিল ও মুসকান দুজনেই। এরইমধ্যে বেঁধেছে আরও এক গোলযোগ।
মুসকানের বাবা দাবি করেছেন যে সাহিল সৌরভকে হত্যা করতে মুসকানকে প্ররোচিত করেছিলেন। সম্পর্ক এবং মাদকের লোভে মুসকান এমনটা করেছে বলে দাবি মুসকানের বাবার। কারণ মৃত সৌরভ মুসকানকে এই সমস্ত কাজে বাধা দিতেন। তাঁদের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
এবার মুসকান ও সাহিল এতটাই মাদকাসক্ত হয়ে গিয়েছেন যে ঘটনাটা অন্যদিকে মোড় নিয়েছে। পুলিশের মতে, বুধবার থেকে দুজনেই ঠিকমতো ঘুমাতে পারছেন না এবং খেতেও চাইছেন না। মুসকান এবং সাহিল দুজনেই দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করছেন। আর তারই প্রতিক্রিয়া এটা। জেলে মাদক না পেয়ে ঘুম উড়েছে অভিযুক্তদের।
সিনিয়র জেল কর্মকর্তা বীরেশ রাজ শর্মা জানিয়েছেন যে অভিযুক্তরা এতটা অস্থির বোধ করছেন কারণ গত সপ্তাহে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে তাঁরা কোনও মাদক গ্রহণ করেননি। তিনি আরও যোগ করেছেন যে মুসকান এবং সাহিল উভয়ই দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করছেন। তাই এখন তাঁদের ঘুমাতে এবং শান্ত থাকতে সমস্যা হচ্ছে।
জেলের ডাক্তাররা মুসকান এবং সাহিলকে এই ধরনের লক্ষণগুলি দূর করার জন্য ইতিমধ্যেই ওষুধ দিয়েছেন। তাঁদের পরিবারও পরিবার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বলে খবর মিলেছে। সৌরভ রাজপুতের পরিবার জানিয়েছে যে মুসকান এবং সাহিল অদ্ভুত বা গোপন কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন। আবার মুসকানের বাবা-মা বলেছেন যে সৌরভ রাজপুতকে হত্যার অভিযোগে মুসকানের মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়েই বিয়ে করেছিলেন মুসকান এবং রাজপুত। ওদিকে মুসকান এবং সাহিল স্কুল থেকে একে অপরকে চিনতেন। এরপর ২০১৯ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে আবার যোগাযোগ হয় তাঁদের মধ্যে, পুলিশ জানিয়েছে এমনটাই।
যাইহোক, মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে ৪ মার্চ। সৌরভ রাজপুতকে মাদক দিয়ে মাদকাসক্ত করে ছুরি দিয়ে তিনটি আঘাত করে তাঁর হার্ট ছিদ্র করে দিয়েছিলেন স্ত্রী মুসকান। এরপর রাজপুতের দেহ টুকরো টুকরো করে সিমেন্ট দিয়ে একটি ড্রামের ভেতরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।