বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Romeo, Julie tale: কলকাতায় বাঁচিয়েছিল প্রাণ, এবার তুরস্কেও একই কাজে ভারতীয় যুগল, রোমিয়ো-জুলি

Romeo, Julie tale: কলকাতায় বাঁচিয়েছিল প্রাণ, এবার তুরস্কেও একই কাজে ভারতীয় যুগল, রোমিয়ো-জুলি

রোমিয়ো এবং জুলি। (ANI)

Romeo, Julie tale: ধ্বংসাবশেষের তলায় চাপা পড়ে থাকা অনেকের প্রাণ বাঁচল এই দু’জনের কারণে। রোমিয়ো আর জুলি। জেনে নিন তাদের পরিচয়।

তুরস্ক আর সিরিয়ার ভূমিকম্পের খবরের ধাক্কা এখনও সারা পৃথিবী সামলে উঠতে পারেনি। এখনও চলছে উদ্ধার কাজ। এখনও ধ্বংসাবশেষের তলায় চাপা পড়ে আছেন অনেকে। তাঁদের বেশির ভাগই হয়তো মৃত। মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। কিন্তু এরই মধ্যে এই ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাতার ভূমিকায় হাজির হল দু’জন। দুই ভারতীয়। রোমিয়ো আর জুলি। কারা তারা? কী তাদের পরিচয়?

রোমিয়ো এবং জুলি (জুলিয়েট নয়) ন্যাশনাল ডিজাজটার রেসপন্স ফোর্স (National Disaster Response Force বা NDRF)-এর সদস্য। তবে তারা মানুষ নয়। দু’জনেই সারমেয়। রোমিয়ো ৬ বছরের ছেলে ল্যাব্রাডর আর জুলি ৬ বছরের মেয়ে ল্যাব্রাডর। এর আগেও এমন বহু কাজে সাহায্য করেছে এই দু’জন। উদ্ধার করেছে অনেককে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না। 

৮ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে রোমিয়ো এবং জুলিকে তুরস্কে পাঠানো হয়। সঙ্গে পাঠানো হয় আরও কয়েক জন সারমেয়কে। তাদের নাম বব, রক্সি, র‌্যাম্বো এবং হানি। সব মিলিয়ে ৬ সদস্যের সারমেয় টিম। এছাড়া সঙ্গে আরও ১৫২ জন। তারাই উদ্ধার কাজ চালায় তুরস্কে। তবে সবচেয়ে পারদর্শিতার সঙ্গে উদ্ধারের কাজ করে রোমিও এবং জুলিই। 

ন্যাশনাল ডিজাজটার রেসপন্স ফোর্সের তরফে বলা হয়েছে, রোমিয়ো এবং জুলি বহু মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছে। তবে আলাদা করে বলা হয়েছে এক শিশুর কথা। ছয় বছরের সেই শিশু তিন দিন ধরে ধ্বংসস্তুপের তলায় আটকে ছিল। তার পরিবারের সকলেই মারা গিয়েছেন। শুধুমাত্র বেঁচে ছিল শিশুটি। রোমিয়ো এবং জুলিই তার গন্ধ খুঁঝে পায়। অবশেষে ন্যাশনাল ডিজাজটার রেসপন্স ফোর্সের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করেন। 

ন্যাশনাল ডিজাজটার রেসপন্স ফোর্স ইতিমধ্যেই ভারতের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিভাগ হয়ে উঠেছে। এই মুহূর্তে প্রায় ১৮ হাজার কর্মী রয়েছেন এতে। এর সঙ্গে রয়েছে বিরাট ডগ স্কোয়াড। সেখান প্রায় ১৪০টি কুকুর রয়েছে। এর আগে নেপালে ভূমিকম্পের সময়ে এই বিভাগ দারুণ ভাবে কাজ করে। শুধু তাই নয়, কলকাতায় সেতু ভেঙে পড়ার সময়েও এই ন্যাশনাল ডিজাজটার রেসপন্স ফোর্স উদ্ধারের কাজে দারুণ ভাবে সাহায্য করেছিল।

সব মিলিয়ে তুরস্কের ভূমিকম্পের পরে উদ্ধার কাজে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে এই ন্যাশনাল ডিজাজটার রেসপন্স ফোর্স। এবং সেখানে সবচেয়ে আলোচিত হচ্ছে রোমিয়ো এবং জুলির ভূমিকা। আপাতত এই যুগলকেই ধন্যবাদ জানাচ্ছে অনেকে। 

বন্ধ করুন