লুকিয়ে মহিলাদের স্নানের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করাই ছিল তার নেশা। এক দুই বছর নয়, টানা ৩০ বছর ধরে নানাভাবে সে এই বিশেষ ‘শখ’ পূরণ করে আসছে । তাকে ধরতেই একে একে ধরা পড়ল চক্রের সবকটি সদস্য। ২০২১ সালের শেষে ধরা হয়েছিল দলের পান্ডাকে। তার এক বছরের মাথায় অশ্লীল ছবি ও ভিডিয়ো ক্যামেরাবন্দি করার গোটা চক্রটিই ধরা পড়ল পুলিশের জালে।
সম্প্রতি জাপানে এমন ঘটনাই প্রকাশ্যে আসে। ৩০ বছর ধরে মোট এক হাজারেরও বেশি মহিলার স্নানের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করেছে এই চক্র। জাপানের উষ্ণ ঝরনায় স্নান দৃশ্য ক্যামেরাবন্দির অপরাধে ২০২১ সালে গ্ৰেফতার করা হয় ৫০ বছর বয়সি কারিন সাইটোকে। দি আসাহি শিমবাম সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, চক্রটির পান্ডাকে ধরার পরেই একে একে গোটা চক্রটিকে কব্জায় আনে শিজুওকা পুলিশ। তবে চক্রে যারা রয়েছেন তাদের পরিচয় শুনলে অবাক হতে হয়। তাদের কেউ পেশায় নামী সংস্থার উচ্চ পদাধিকারী, কেউ আবার স্থানীয় প্রশাসনের কর্মী, কেউ বা পেশায় টোকিওর চিকিৎসক! অশ্লীল ছবি ও ভিডিয়ো ক্যামেরাবন্দি করার কাজে প্রত্যেকেই লিপ্ত ছিল দীর্ঘ সময় ধরে। জাপানের নুইয়েন্স প্রিভেনশন অর্ডিন্যান্স আইন লঙ্ঘনের অপরাধে তাদের গ্ৰেফতার করা হয়। পুলিশের সন্দেহ, শিশু পর্নোগ্ৰাফিও করে থাকতে পারে অভিযুক্তরা।
সাইটোকে গ্ৰেফতার করার পর সে নিজেই স্বীকার করে ২০ বছর বয়সে এমন ভিডিয়ো করতে সে কমপক্ষে ১০০টি জায়গা ঘুরেছে। অন্যান্য যাদের গ্ৰেফতার করা হয়, তারা জানায় সাইটোর হাত ধরেই তারা এই কাজে নেমেছে। কীভাবে ভিডিয়ো করতে হয় তাঁর খুঁটিনাটিও সাইটোর কাছ থেকেই শেখা। পর্নোগ্ৰাফির জগতে রীতিমতো নাম রয়েছে সাইটোর। এই কাজে তার ‘ক্যারিশ্মা’ রয়েছে এমনটাই স্বীকার করে চক্রের পান্ডারা। শুধু তাই নয়, চক্রের সদস্যরা জানায় এমন ভিডিয়োগ্ৰাফি করার জন্য উন্নত মানের ক্যামেরা ও যন্ত্রপাতিও ব্যবহার করত সাইটো। মামলার তদন্তকারী অফিসার সংবাদমাধ্যমকে জানান, অন্ততপক্ষে ১০ হাজার মহিলার নগ্ন স্নানের দৃশ্য এই পদ্ধতিতে ভিডিয়ো করা হয়। কীভাবে চলত এই কারবার তাও বিস্তারিত বলেন তদন্তকারী অফিসার। জানানো হয়, মহিলারা উষ্ণ ঝরনায় স্নান করার সময় তাদের ছবি দূরের পাহাড়ের পিছন থেকে তোলা হত। প্রায় ১০০ মিটার দূর থেকে শুধু ক্যামেরার কেরামতিতে ভিডিয়োবন্দি করা হত নগ্ন স্নানের দৃশ্য।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup