আমরা প্রত্যেকেই প্রতি দিন এমন কিছু কাজ করেই চলি, যেগুলি আমাদের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়, মন খারাপ বাড়িয়ে দেয়, মানসিক ভাবে ক্লান্ত করে দেয়।
কোন কোন অভ্যাস, আমাদের প্রতি দিনের জীবন এভাবে ক্লান্তিকর করে তুলছে? মনোবিদরা বলছেন, এই তালিকায় একেবারে গোড়াতেই থাকবে কোনও বিষয় িনয়ে অতিরিক্ত ভাবনা। এই ভাবনা উদ্বেগের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়, কাজের উদ্যম কমিয়ে দেয়। শুধু তাই নয়, শরীরের উপরেও প্রভাব পড়ে এর। এতে মাথাব্যথা, শরীর ক্লান্ত থাকা থেকে হজমের সমস্যা পর্যন্ত হতে পারে।
সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মনোবিদ মায়া কৃপালিনি জানিয়েছেন, ‘যেগুলি নিজের নিয়ন্ত্রণে নেই, সেগুলি নিয়ে অনেকেই ভেবেই চলেন। সেই ভাবনা তাঁরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। এটি তাঁদের মানসিকভাবে ক্লান্ত করে দেয়।’
এর পরেই যে অভ্যাসটি মানুষকে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে, সেটি হল ভবিষ্যৎ নিয়ে অহেতুক দুশ্চিন্তা। যখন হাতে কাজ থাকছে না, তখনই ভবিষ্যৎ নিয়ে অহ্তুক দুশ্চিন্তা গ্রাস করে অনেককে।
মায়া কৃপালিনির মতে, ‘অতীত থেকে মানুষ শেখে। সেই শিক্ষাই ভবিষ্যতের জন্য কাজে লাগে। কিন্তু এই দুটো নিয়ে সারা ক্ষণ ভাবলে বাদ পড়ে যায় বর্তমানটা। তার ফলে কাজকর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
এর পরে বাকি থাকে আরও একটি অভ্যাস। এটিও কমিয়ে দেয় কাজের ক্ষমতা। বাড়ায় মনখারাপ। সেটি হল রোজ এক ধরনের রুটিন মেনে কাজ করে যাওয়া। অনেকেই এই রুটিন বদলাতে পারেন না। সেটি মনের উপর বিরাট চাপ ফেলে।
মায়া কৃপালিনি বলছেন, ‘একঘেয়েমি কাজের ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। এই অবস্থা বদলাতে না পারলে এক সময় রোজকার জীবন অত্যন্ত বিরক্তিকর হয়ে ওঠে এবং মন খারাপ লেগেই থাকে।’
এই পরিস্থিতি বদলাতে কী করবেন? মনোবিদ বলে দিচ্ছেন তিনটি রাস্তা:
- কোন ধরনের ভাবনা মাথার মধ্যে ভিড় করছে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। খুব নেগেটিভ ভাবনা হলে, সেগুলি এড়িয়ে চলুন।
- অতীত এবং ভবিষ্যতের ভাবনায় বেশি ঘোরাফেরা করবেন না। বর্তমানে থাকুন।
- নতুন কিছু শিখুন। নতুন কাজ আপনার মন ভালো রাখতে সাহায্য করবে। একঘেয়েমি কমাবে। তাতে মনও ভালো হবে।