সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্য শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখা সমান জরুরি। বিশেষ করে আজকের সময়ে, যেখানে শারীরিক কাজের চেয়ে মানসিক কাজের চাপ এবং চাপ বেশি বাড়ছে, এমন পরিস্থিতিতে মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার প্রয়োজনীয়তাও সমানভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয় যেমন স্ট্রেস, উদ্বেগ এবং হতাশাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে নানা কারণ ছাড়াও আমাদের কিছু অভ্যাসও মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য দায়ী। যদি এই অভ্যাসগুলি আপনার দৈনন্দিন রুটিনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তবে ভবিষ্যতে আপনি কোনও গুরুতর অসুস্থতার শিকার হতে পারেন এমন প্রতিটি সম্ভাবনা রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার রুটিন থেকে এই অভ্যাসগুলি সরিয়ে ফেলুন।
নিজেকে একেবারেই সময় না দেওয়া
গলা কাটা প্রতিযোগিতার সময় এবং এমন পরিস্থিতিতে আমাদের সকলের জীবনধারা খুব ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। এই ব্যস্ত জীবনযাপনে একটু সময় বের করাও বেশ চ্যালেঞ্জিং। সামনের সারিতে থাকার এই দৌড়ে অনেক সময় মানুষ কঠোর পরিশ্রম করে। অনেক সময় অফিস সময়ের পরও মানুষ কাজে ব্যস্ত থাকে। এভাবে সারাদিন কাজে ব্যস্ত থাকা এবং নিজের জন্য সময় বের করতে না পারা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। প্রতিদিন নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করে মনকে সতেজ রাখা ভালো। এর সাথে, আপনি বার্নআউটের শিকার হবেন না এবং আপনার উত্পাদনশীলতাও ভাল হবে।
আমাদের সবারই কিছু না কিছু চাপ থাকে। একটু স্ট্রেস নেওয়াটা স্বাভাবিক এবং অন্যায় নয়। তবে আপনি যদি প্রায়ই প্রতিটি ছোটখাটো বিষয় নিয়ে টেনশনে থাকেন, তাহলে তা মোটেও ঠিক নয়। সারাক্ষণ জিনিস নিয়ে চাপে থাকা এবং আপনার মনের উপর অপ্রয়োজনীয় চাপ দেওয়া আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে এভাবে মানসিক চাপে থাকেন তবে এটি আপনার মস্তিষ্ক এবং মানসিক স্বাস্থ্য উভয়ের জন্যই ঠিক নয়।
পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া
:
আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে 7 থেকে 8 ঘন্টা ঘুম পাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি পর্যাপ্ত ঘুম না পান তবে আপনি আপনার শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের উপরও তার প্রভাব দেখতে পাবেন। পর্যাপ্ত ঘুম না পাওয়া মস্তিষ্কের কার্যকারিতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এ ছাড়া দৈনন্দিন উৎপাদনশীলতা ও ফোকাসও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দীর্ঘদিন ধরে এই অভ্যাস চালিয়ে গেলে তা মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা তৈরি করতে পারে।
শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও খেয়াল রাখতে ডায়েটের দিকে খেয়াল রাখাও সমান জরুরি। ভালো খাদ্যাভ্যাস মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে কাজ করে। এটি মেজাজ স্তরকেও প্রভাবিত করে। আপনার ডায়েটে আরও বেশি করে খাবার অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করুন যাতে ওমেগা 3 ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন, দস্তা এবং আয়রনের মতো জিনিস রয়েছে। যত বেশি পুষ্টিকর খাবার খাবেন, মানসিক অসুস্থতার ঝুঁকি তত কমবে।
আপনার শরীর এবং মনকে সুস্থ রাখতে, আপনার রুটিনে কিছু ধরণের শারীরিক ক্রিয়াকলাপ অন্তর্ভুক্ত করুন। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম বা ব্যায়ামের জন্য কিছুটা সময় বের করুন। বাইরে প্রকৃতির সান্নিধ্যে কিছুটা সময় কাটান এবং নিজেকে শান্তিতে সময় দিন। আপনি যদি আপনার রুটিনে কোনও ধরণের শারীরিক ক্রিয়াকলাপ অন্তর্ভুক্ত না করেন তবে এটি আপনার মস্তিষ্ক এবং শরীর উভয়ের স্বাস্থ্যের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রতিবেদনটি প্রাথমিক ভাবে অন্য ভাষায় প্রকাশিত। স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির মাধ্যমে এটির বাংলা তরজমা করা হয়েছে। HT বাংলার তরফে চেষ্টা করা হয়েছে, বিষয়টির গুরুত্ব অনুযায়ী নির্ভুল ভাবে পরিবেশন করার। এর পরেও ভাষান্তরে ত্রুটি থাকলে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।