কিছু দিন পরেই পালিত হবে পয়গম্বর মহম্মদের জন্মবার্ষিকী। গোটা বিশ্বের ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষরা মেতে উঠবেন এই পুণ্য দিনটিকে ঘিরে। পয়গম্বর মহম্মদের জন্মবার্ষিকী উৎসবের নাম মাওলিদ। অনেক স্থানে এটি ‘মিলাদ উন নবী’ বলেও পরিচিত। চলতি বছরে কবে সেই উৎসবের দিনক্ষণ? পৃথিবীর কোন কোন দেশে এই দিন সরকারি ছুটি থাকবে? আসুন দেখে নেওয়া যাক সেই সমস্ত খুঁটিনাটি।
(আরও পড়ুন: বেলুড়ের দুর্গাপুজো কবে কখন শুরু? প্রকাশিত হল পুজোর নির্ঘণ্ট)
ইসলামীয় ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, বছরের তৃতীয় মাস হল রবি অল-আওয়াল। শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলিমরা মাসের ১২ তম দিনে এই উৎসব পালন করেন। আবার সুন্নি সম্প্রদায়ের মুসলিমরা মাসের ১২ তারিখ পালন করেন ‘মিলাদ উন নবী’ বা ‘নবী দিবস’। তবে অন্যান্য ইসলামীয় অনুষ্ঠানের মতোই চাঁদ দেখেই শুরু হয় এই বিশেষ উৎসব।
চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৩সালে সেপ্টেম্বর মাসেই পালন করা হবে নবী দিবস। তবে প্রতি বছর এই উৎসবের তারিখ আলাদা আলাদা হয়। এই বছর ২৬ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ‘মিলাদ উন নবী’ পালন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, আরবি শব্দ ‘মিলাদ’এর অর্থ সন্তানের জন্ম।
(আরও পড়ুন: ইলিশ থেকে কাচ্চি বিরিয়ানি! ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে আর কী কী খাওয়ালেন হাসিনা)
দিনটির ইতিহাস: ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে সৌদি আরবের মক্কায় পয়গম্বর মহম্মদের জন্মগ্রহণ করেন। ইসলামীয় ধর্মগ্রন্থ মতে, এই দিনটি ছিল রবি অল-আওয়াল মাসের ১২ তারিখ। ১২০৭ খ্রিষ্টাব্দে ইরবিলে প্রথম সরকারিভাবে নবী উৎসব শুরু হয়। উদ্যোক্তা ছিলেন তুর্কি সেনাপতি গোকবরি।
সাম্প্রতিককালে বিশ্বের মুসলিম অধ্যুষিত সব দেশেই ‘মিলাদ উন নবী’ পালন করা হয়। উৎসব পালনকারী দেশগুলির মধ্যে ইরাক, ইরান, জর্ডন, লিবিয়া, মরক্কো, তুর্কি, নাইজেরিয়া ও ইথিওপিয়া প্রভৃতি দেশ রয়েছে। এছাড়াও ভারত, ব্রিটেন ও রাশিয়ার মতো দেশেও এই উৎসবের প্রচলন রয়েছে তবে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদেরই অন্য শাখা ওয়াহাবি ও সালাফি এই উৎসব পালন করেন না।
প্রসঙ্গত, প্রতি বছর সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী নবী উৎসবের দিন ঘোষণা করে। চলতি বছরে মিলাদ উন নবী-র দিনক্ষণ এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে ঘোষণা করেনি এই দুই দেশ। তবে জানা গিয়েছে, সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে উৎসব পালিত হতে পারে। তবে পশ্চিম এশিয়ার সঙ্গে ভারতে একই দিনে নবী দিবস পালন করা হবে না। সরকারিভাবে উৎসব উপলক্ষ্য়ে ইতিমধ্যেই ছুটি ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ২৮ সেপ্টেম্বর উৎসব উপলক্ষে ছুটি দেওয়া হয়েছে।