কাটোয়া: হোমিওপ্যাথি গবেষণায় ফের একবার বাংলার মুখ উজ্জ্বল করল কাটোয়ার কুর্চি গ্রামের বাসিন্দা অভিদীপ্ত হাজরা (Avidipta Hazra)। ডায়াবিটিসের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথির ভূমিকা (homeopathy medicine in diabetes) নিয়ে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য এবার দিল্লির আয়ুষ মন্ত্রক (Ministry of Ayush) থেকে সম্মানিত হতে চলেছে মেট্রোপলিটান হোমিওপ্যাথি কলেজের অন্তিম বর্ষের এই পড়ুয়া। ২০২৩ সালে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়া চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি ওষুধের ভূমিকা নিয়ে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্য রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর থেকে বিশেষ সম্মানে সম্মানিত হয়েছিলেন অভিদীপ্ত। চলতি বছর হোমিওপ্যাথি অনুসন্ধান পরিষদের তরফে আন্তর্জাতিক হোমিওপ্যাথি দিবসে পুরস্কৃত করা হবে তাঁকে।
আরও পড়ুন - ঠাকুরবাড়িকেও ছাড়ছে না প্রোমোটারি! জমির ধুলোয় মিশছে সত্তোরোর্ধ্ব ইতিহাস
কী নিয়ে গবেষণা অভিদীপ্তর?
বর্তমান সারা বিশ্বেই যে রোগটি মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, সেটি ডায়াবিটিস। পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে ব্যাপক হারে দেখা যাচ্ছে এই ক্রনিক রোগ। প্রসঙ্গত, ভারতকে বিশ্বের ডায়াবিটিস ক্যাপিটালও বলা হয়ে থাকে। এই পরিস্থিতিতে অ্যালোপ্যাথির পাশাপাশি অনেকে রোগ নিরাময়ে ভরসা রাখেন হোমিওপ্যাথির উপরেও। অভিদীপ্ত হাজরার এই ডায়াবিটিস নিয়েও গবেষণা করেছেন অধ্যাপক দেবর্ষি দাসের অধীনে। গবেষণার বিষয় ছিল — অ্যাভোগ্যাড্রো সীমার মধ্যে ও উপরে অতি তরলীকৃত হোমিওপ্যাথি ওষুধের চিকিৎসামূলক উপকারিতা। এই সংক্রান্ত সফল ক্লিনিকাল ট্রায়ালের জন্যই এবার দিল্লির মঞ্চে দেখা যাবে তাঁকে।
আরও পড়ুন - সাধারণ নুনের বদলে এই বিশেষ নুন খেলে কমতে পারে হাই প্রেশার! রয়েছে আরও গুণ
‘এই ধরনের গবেষণা ভীষণ প্রয়োজন’
ছাত্রের কৃতিত্ব নিয়ে অধ্যাপক দেবর্ষি দাসের বক্তব্য, ‘হোমিওপ্যাথিতে এই ধরনের গবেষণা ভীষণ প্রয়োজন। সেই নিরিখে অভিদীপ্তের গবেষণা বেশ ভালো। আশা রাখছি, আমাদের এই গবেষণা ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে হোমিওপ্যাথি ওষুধের উপকারিতাকে তুলে ধরবে।’
আরও পড়ুন - ক্যাজুয়াল সেক্স হলেও পুরুষদের তুলনায় মেয়েরা আবেগপ্রবণ বেশি? কী বলছেন চিকিৎসক
‘বাবা কৃষক, মা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী’
কাটোয়ার কুর্চি গ্রামের বাসিন্দা অভিদীপ্ত ছোট থেকে পড়াশোনায় মেধাবী। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক দারুণ ফল করে নিট পাশ করে ভর্তি হয় মেট্রোপলিটান কলেজে। সেখান থেকেই পরপর দুবার তার গবেষণা পুরস্কৃত হল জাতীয় স্তরে। অভিদীপ্তর বাবা কুশীনাভ হাজরা একজন কৃষক। অন্যদিকে মা ফাল্গুনী হাজরা অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী।
পুরস্কার পাওয়ার খবর পেয়ে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত অভিদীপ্ত। গবেষণার ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘গবেষণার যা ফলাফল পেয়েছি, তার থেকে আমি আশাবাদী হোমিওপ্যাথি ওষুধ ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।’