বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Is Mole Dangerous: একটি তিলও মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে! কীভাবে জানেন

Is Mole Dangerous: একটি তিলও মারাত্মক বিপদ ডেকে আনতে পারে! কীভাবে জানেন

একটি তিলও হয়ে উঠতে পারে বিপদের কারণ।

তিল মানেই তা শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয়। এর কারণে হতে পারে বিপদও। কেন জানেন?

তিল নিয়ে নানা ধরনের সাহিত্য রচনা হয়েছে। কিন্তু জানেন কি তিল হতে পারে আপনার শরীরের এক বড় বিপদের কারণ। তিল থেকে যে রোগটি হতে পারে সেটি হল, ম্যালিগন্যান্ট মেলানোমা। সহজ ভাষায় যাকে বলে ত্বকের ক্যানসার।

মেলানোমা কী ও তা কোথায় হয়?

ত্বকের গভীরে অবস্থিত, মেলানিন কোষ যা কালো রং সৃষ্টি করে সেই কোষের ক্যানসারই হল, ত্বকের ক্যানসার।

ত্বকের যে অংশে সূর্যের আলো বেশি পৌছায় ,যেমন ঘাড়, হাত, পা এইসব অংশে এই রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়াও, চোখ, নাক, পায়ুপথ, যোনিপথ, এমনকী মস্তিষ্কের আবরণীতেও মেলানোমা হতে পারে।

মেলানোমার কারণ:

প্রধান কারণ রোদ। শরীরে অতিরিক্ত তিল ম্যালিগন্যান্ট মেলানোমা ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া পুরুষ ও ৬০ বছরের বেশি বয়সীদেরও ঝুঁকি বেশি। যাঁরা দীর্ঘ সময় রোদে কাজ করেন, তাঁরাও ঝুঁকিতে আছেন। জিনগত কারণেও এটি হতে পারে।

সাধারণ লক্ষনগুলি কী কী

তিল বা আঁচিলের আকারের স্পষ্ট পরিবর্তন ক্যানসারের একটা লক্ষণ। তবে সব তিলই যে ক্যানসারে হবে এমন নয়। যে পরিবর্তনগুলো বিপদের আভাস হতে পারে সেগুলো এ, বি, সি, ডি দিয়ে প্রকাশ করা হয়।

এ (অ্যাসিমেট্রি বা অসাম্য): তিলটি বৃত্তাকার নয়। মাঝ বরাবর কোনও রেখা টানলে তার দুটো পাশ সমান আকারের হয় না।

বি (বর্ডার বা প্রান্ত): চারদিকের সীমানা সমান না হওয়া বা এবড়োখেবড়ো হওয়া।

সি (কালার বা রং): গোড়ায় তিলটির যে রং ছিল, পরে তার থেকে বদলে যাওয়া।

ডি (ডায়ামিটার বা ব্যাস): ৬ মিলিমিটারের বেশি বড় হওয়া।

এ ছাড়া কোনও তিল বা আঁচিলে রক্তপাত, চুলকানি হলেও তা বিপদের কারণ হতে পারে।

এই রোগের চিকিৎসা:

  • সম্পূর্ণ নিরাময়ের জন্য দ্রুত শনাক্তকরণ জরুরি।
  • তিল ক্যানসারে আক্রান্ত হলে, চিকিৎসকরা তা কেটে বাদ দেন। দরকার হলে আশপাশের লিম্ফ নোডও বাদ দিতে হয়।
  • দরকার মতো ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে এর পরে।

এই রোগ কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়:

রোদ থেকে ত্বককে রক্ষা করা জরুরি। দীর্ঘ সময় রোদে কাজ বা খেলাধুলা করলে সানস্ক্রিন লাগাতে হবে। কাপড় ও ছাতাও রোদ থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয়।

যাঁদের শরীরে অস্বাভাবিক বা অতিরিক্ত তিল আছে, তাঁরা বেশি সতর্ক থাকবেন। তিলের ছবি তুলে রেখে তাতে কোনও পরিবর্তন (এ, বি, সি, ডি) হয় কি না, তা সময় সময় পর্যবেক্ষণ করা যেতে পারে। কোনও পরিবর্তন দেখা দিলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

বন্ধ করুন