বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Opium production: পোস্ত চাষের লাইসেন্স পাবে ১ লাখ চাষি! ‘বিশেষ’ চাহিদা মেটাতে সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

Opium production: পোস্ত চাষের লাইসেন্স পাবে ১ লাখ চাষি! ‘বিশেষ’ চাহিদা মেটাতে সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের

পোস্ত চাষের লাইসেন্স পাবে ১ লাখ চাষি! (LM)

Finance ministry on Opium production: পোস্ত চাষের লাইসেন্স পাবে আরও এক লাখ চাষি। বিশেষ চাহিদা মেটাতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থমন্ত্রক।

আরও বেশি কৃষকদের পোস্তচাষের লাইসেন্স দেবে সরকার। নতুন লাইসেন্স নীতি মেনে  ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রক এমনটাই জানিয়েছে। প্রায় ১১২,০০ কৃষককে এই লাইসেন্স দেওয়া হবে অনুমান।

প্রসঙ্গত, ভারতে পোস্ত চাষ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। এদিকে ওষুধের প্রধান কাঁচামাল এটি। তাই এর উৎপাদনের জন্য সরকার প্রতি বছর লাইসেন্স দেয়। মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশে পোস্ত চাষ হয়। অর্থমন্ত্রক বলেছে, এই তিনটি রাজ্যে আগের বছরের তুলনায় আরও বেশি লাইসেন্স দেওয়া হবে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আরও ২৭ হাজার কৃষক লাইসেন্স পেতে পারেন। 

(আরও পড়ুন: মরক্কোর শয়ে শয়ে মৃত্যুর পিছনে ‘রিভার্স ফল্ট’ ভূমিকম্প! কেন এত বিধ্বংসী এই কম্পন)

লাইসেন্স পাওয়ার জন্য যোগ্য এই আফিম চাষীদের সংখ্যা মধ্যপ্রদেশে প্রায় ৫৪,৫০০, রাজস্থান ৪৭ হাজার ও উত্তর প্রদেশে  ১০,৫০০ জন। ২০১৪-১৫ সালে পাঁচ বছরের মেয়াদে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল কৃষকদের। সেই সংখ্যার  প্রায় আড়াইগুণ এবার লাইসেন্স পেতে চলেছেন। এমনটাই জানায় অর্থ মন্ত্রক। 

দেশের ভিতরে ও বাইরে দুই ক্ষেত্রেই এর বিপুল চাহিদা। পোস্ত, আফিম চিকিৎসার্র দ্রব্যের কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সেই ওষুধের জগতে দিন দিন বেড়ে চলা চাহিদা মেটাতে এই লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। অর্থমন্ত্রকের কথায়, এতে বাণিজ্যের দিকটাও বেশ পোক্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশের ভিতরের চাহিদা একদিকে মিটবে। অন্যদিকে রপ্তানিতে অন্য দেশকে টেক্কা দিতে পারবে ভারত। 

(আরও পড়ুন: বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু শিব মন্দির দক্ষিণ ভারতে, কত ফুট দীর্ঘ জানলে চমকে যাবেন)

কেন্দ্র দেশের ভিতরে চাহিদা এবং প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ধারাবাহিকভাবে কাজ করছে বলে এই দিন দাবি করা হয়। চাহিদা এবং প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে, আশা করা হচ্ছে যে আফিম চাষের লাইসেন্স পাওয়া কৃষকের সংখ্যা আগামী তিন বছরে দেড় লাখে গিয়ে দাঁড়াবে। 

আফিম চাষের লাইসেন্সিং পদ্ধতিটি ২০২০-২১ সালে অন্য প্রক্রিয়ায় শুরু হয়েছিল। তার পর সেই প্রক্রিয়াকে ধীরে ধীরে প্রসারিত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার তাদের নিজস্ব কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়েছে। কারখানাগুলিতে আরও ভালো ব্যবস্থা গড়ে তুলতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।  ইতিমধ্যেই ভারত আফিম প্রক্রিয়াকরণের ক্ষমতা বাড়াতে বেসরকারি বিনিয়োগের কথা ভেবেছে। আফিম আঠা প্রক্রিয়াকরণের জন্য বেসরকারি ক্ষেত্রের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা হচ্ছে।‌

বন্ধ করুন