মহরম হল ইসলামিক চান্দ্র ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস। তারপরে সাফার, রাবি-আল-থানি, জুমাদা আল-আউয়াল, জুমাদা আত-থানিয়া, রজব, শাবান, রমাদান, শাওয়াল, জুল-কাদাহ এবং জু আল-হিজ্জাহ মাস আসে। রমজান বা রামাদানের পরে, মহরমকে ইসলামে সবচেয়ে পবিত্র মাস হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি চান্দ্র ক্যালেন্ডারের সূচনা করে। তাই এটিকে নতুন বছরের সূচনা হিসাবে ধরা হয়।
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে যেখানে ৩৬৫ দিন নিয়ে একটি বছর তৈরি হয়, ইসলামিক ক্যালেন্ডারে সেখানে ৩৫৪ দিন ১২টি মাসে বিভক্ত হয়ে রয়েছে। ইসলামিক নববর্ষ আল হিজরি বা আরবি নববর্ষ নামেও পরিচিত। বছরের প্রথম মাসটি ইসলামে অত্যন্ত পবিত্র। কারণ এই পবিত্র মাসেই নবি মহম্মদ মক্কা থেকে মদিনায় যাত্রা করেছিলেন। মাসের ১০ম দিনটি আশুরা নামে পরিচিত। এটি মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত দুঃখের দিন। এদিন কারবালায় নবি মুহাম্মদের নাতি হুসেনের হত্যা হয়। তাঁর জন্য শোকপালন করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
তারিখ:
চাঁদ দেখা অনুযায়ী, মহররম মাসের প্রথম দিনটি সৌদি আরব, ওমান এবং অন্যান্য উপসাগরীয় দেশে ৩০ জুলাই, ২০২২ (শনিবার) পালিত হওযার কথা। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং মরক্কোতেও চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ৩০ জুলাই তারিখে মহরমের প্রথম দিনটি চিহ্নিত করা হতে পারে। চাঁদ দেখা না গেলে, তা একদিন পিছিয়ে যাওয়ার কথা।
তাৎপর্য:
মহরম শব্দের অর্থ ‘অনুমতি বিহীন’ বা ‘নিষিদ্ধ’। তাই এই সময়টি মুসলমানদের জন্য নানা কাজের বিধিনিষেধ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে যুদ্ধের মতো ক্রিয়াকলাপ। বরং এই সময়টি প্রার্থনার এবং অন্তর্দর্শনের সময় হিসাবে বিবেচিত হয়। এই দিনে রোজা রাখা ‘সুন্নত’ হিসাবে মানা হয়। যেহেতু নবি মহম্মদ এই দিনে রোজা রাখতেন।
অন্যদিকে, শিয়া মুসলমানরা এই সময়ের মধ্যে সমস্ত আনন্দ অনুষ্ঠানে যোগদান করা এবং উদ্যাপন করা থেকে বিরত থাকেন এবং হযরত আলির পুত্র এবং নবি মহম্মদের নাতি ইমাম হোসেনের স্মরণে মহররমের দশম দিনে রোজা পালন করেন।