Muharram 2025: মহরমের দশম দিন আশুরা, এই দিনের বিকেলে কী ঘটেছিল ১৪০৫ বছর আগে?

Day Of Ashura Importance: ইসলামিক ক্যালেন্ডারের প্রথম মাস হল মহরম। তবে মহরমের নবম এবং দশম দিনকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই দিন 'আশুরা' নামে পরিচিত। এই বছর আশুরা ৬ অথবা ৭ জুলাই। তবে চাঁদ দেখার পরেই সঠিক তারিখ ঘোষণা করা হবে।

মুসলিমরা আশুরার দিনটিকে শোকের দিন হিসেবে উদযাপন করে, রোজা রাখেএবং বিশেষ প্রার্থনাও করে। কিন্তু আশুরার ইতিহাস এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। বরং বেশ গভীর, যা কারবালার যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত।

ইয়োম-এ-আশুরা

হুসেন ইবনে আলী ছিলেন মহম্মদের নাতি, যার জন্ম ৬২০ খ্রিস্টাব্দে। হুসেনের মধ্যে তার দাদার সকল গুণাবলী ছিল। বড় হয়ে হুসেন তার দাদার মতোই একজন নেতা হয়ে ওঠেন। যিনি তার করুণা, প্রজ্ঞা এবং সততার জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত ছিলেন। কিছু সময় পরে মহম্মদ মারা গেলে ইসলামী সাম্রাজ্য বিপদের মুখে পড়ে। হুসেন দেখতে পান, খলিফা ইয়াজিদ তার নিজস্ব স্বার্থ মাথায় রেখে শাসন করতে শুরু করেছেন এবং এইভাবে মহম্মদের ইসলামী শিক্ষা ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যেতে শুরু করেছে।

৩০ হাজার সৈন্যের বাহিনী

মহম্মদের মতো, হুসেনও সমাজে সম্মানিত ছিলেন এবং অনেক মানুষ তাকে সমর্থন করেছিলেন। অবশেষে, হুসেন সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ইসলামের জন্য চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ইতিমধ্যে, ইয়াজিদ হুসেনকে তার নিয়ম মেনে চলতে বাধ্য করার জন্য ৩০ হাজার সৈন্যের একটি বাহিনী পাঠান। ইয়াজিদ হুসেনকে হয় তার কথা মানতে, নয়তো মারা যেতে সতর্ক করেন।

হুসেন এবং তার ৭২ জন সঙ্গী…

হুসেন তার নীতিতে অটল থাকার সিদ্ধান্ত নেন এবং ইয়াজিদের কথা মানতে অস্বীকার করেন। এর পর যুদ্ধ শুরু হয়, যেখানে একদিকে ছিল ইয়াজিদের ৩০,০০০ সৈন্যবাহিনী এবং অন্যদিকে ছিল হুসেন এবং তার ৭২ জন সঙ্গী। কারবালার যুদ্ধ বিকেলে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে হুসেনের সঙ্গীদের সংখ্যা কমতে থাকে। সন্ধ্যা নাগাদ হুসেন সম্পূর্ণ একা হয়ে যান। ক্লান্ত, তৃষ্ণার্ত এবং আহত হওয়া সত্ত্বেও, তিনি হাল ছাড়েননি এবং শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তাঁর নীতিতে অটল ছিলেন।

এরপর, ইয়াজিদের সেনাবাহিনী হুসেনকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং তাকে আক্রমণ করে, যার ফলে হুসেন নিহত হন। যেদিন ইয়াজিদ তার লোকদের হুসেনকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন সেদিন ছিল ইসলামী ক্যালেন্ডারের প্রথম মাসের (মহরম) দশম দিন। এই দিনটিই আশুরা হিসাবে পরিচিত।