কিছুতেই চিকিৎসকরা বুঝে উঠতে পারছেন না কীভাবে হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে শিশুদের মধ্যে এই রহস্যময় লিভারের সমস্যা। ইউরোপ ও আমেরিকা মিলিয়ে প্রায় ২০০ জন শিশু এই রোগে আক্রান্ত। ভয়াবহতা এতটাই যে ১৭ জন শিশুর লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হয়েছে ঘটনার জেরে। আক্রান্তদের মধ্যে এক শিশুর মৃত্যুও হয়েছে। এই তথ্য জানিয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।
রহস্যময় লিভারের রোগে কী ঘটছে?
এমন লিভারের রোগ প্রথম ৩১ মার্চ নাগাদ স্কটল্যান্ডে দেখা যায়। শিশুদের মধ্যে হেপাটাইটিসের A, B, C, D ও E কোনও চিহ্নই মেলেনি। ফলে ঘটনাটি খুবই বিরল বলে মনে হতে থআকে সেখানের চিকিৎসকদের। এরপর ইউকেতে ১১৪ টি এমন কেস সামনে আসে। এদের বেশিরভাগেরই বয়স ১০ কিম্বা তার মধ্যে। বিশ্বের মোট ১২ টি দেশে এই সমস্যা দেখা গিয়েছে। আরও পড়ুন-পিরিয়ডের যন্ত্রণায় কি ছটফট করেন? ডায়েটে এই খাবারগুলি রাখলেই কাটবে বহু দুর্ভোগ
কোন বয়সের শিশুরা বেশি আক্রান্ত?
সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, এক মাসের সদ্যোজাত শিশু থেকে ১৬ বছরের বালক বালিকারা এই রোগের শিকার হতে শুরু করেছে। এই রোগের আগে এই আক্রান্ত শিশুরা সকলেই সুস্থ ও স্বাস্থ্যবান ছিল বলে জানা যাচ্ছে। এমন সাপ-কেক কোন বন্ধুর জন্মদিনে উপহার দিতে চান আপনি? দেখে নিন তৈরির পদ্ধতি
রহস্যময় রোগের উপসর্গ
'ইউরোপিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য স্টাডি অফ লিভার'-এর চিকিৎসকরা বলছেন, এটি সম্ভবত কোনও ভয়াবহ হেপাটাইটিস। যার উপসর্গ হল জন্ডিস, ডায়ারিয়া, বমি, আর প্রবল পেটে ব্যথা। এই মুহূর্তে চিকিৎসকদের কাছে আসল ভাবনা হল কোন স্ট্রেইন থএকে এই রোগ ছড়াচ্ছে তার উত্তর খুঁজে বের করা।
এই রোগ কি সংক্রমিত হচ্ছে?
-উল্লেখ্য, চিকিৎসকরা বলছেন, এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে কোনও একটি উৎস খুঁজে বের করা যাচ্ছে না। ফলে এই রোগ ছোঁয়াচে কি না তাও জানা যায়নি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বলছে এই রোগ কোনও মতেই সংক্রিমত হয়ে ছড়াচ্ছে না। ফলে আন্তর্জাতিক ভ্রমণ থেকে এই রোগ হচ্ছে না।
-এছাড়াও প্যারাসিটামলের ওভারডোজ থেকে এই রোগ হয়নি বলে জানা গিয়েছে। সাধারণত প্যারাসিটামলের ওভরা ডোজ থেকে লিভার ফেইল করে যায়। তবে এক্ষেত্রে তা হয়নি বলে জানানো হচ্ছে।
-কোভিড ভ্যাকসিনেশনের সঙ্গেও এই রোগ সম্পর্কিত নয় বলে জানানো হয়েছে।
কোভিড কি কোনওভাবে সম্পর্কিত?
ইউকে হেল্থ সিকিউরিটি এজেন্সির মীরা চাঁদ বলছেন, অ্যাডেনোভাইরাস থেকে সাধারণত ব্রঙ্কাইটিস, ঠাণ্ডা লাগা, ডাইরিয়া হতে পারে। যা বড়সড় রোগের দিকে মোড় নেয় না। তাঁরা মনে করছেন সম্ভবত এই অ্যাডেনোভাইরাসের সঙ্গে অন্য কোনও ভাইরাস মিলে এমন জটিলতা তৈরি করছে। সম্ভাব্য কারণের মধ্যে অ্যাডিনোভাইরাস ও কোভিডের জোটকেও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। বা কোভিড সেরে ওঠার পরের পরিস্থিতি নিয়েও রয়েছে বহু জল্পনা। যদিও এখনও পর্যন্ত এই ঘটনার কারণ জানা যায়নি।