ক্রিসমাস, বছরের শেষ পার্টি, বছর শুরু পার্টি, সপ্তাহান্তের পার্টি— শীতের এই মরশুমটা অনেকের কাছেই পার্টির সময়। জমিয়ে খাওয়াদাওয়া, তার সঙ্গে মদ্যপান। মদ্যপান কোনও কোনও দিন আবার লাগামছাড়াও হয়ে যায়। তার ফল ভুগতে হয় পরের দিন। সকাল থেকে মাথাধরা, গা বমিবমি ভাব। এক কথায় হ্যাংওভার। কিন্তু এই হ্যাংওভার কাটাবেন কী করে? অনেকে নানা রকম ঘরোয়া পদ্ধতি থেকে টোটকা ব্যবহার করেন। কিন্তু তার মধ্যে সবচেয়ে অদ্ভুত পদ্ধতি হল— আবার একটু মদ খেয়ে নেওয়া। এতে কি হ্যাংওভার সত্যিই কমে? কী বলছে বিজ্ঞান?
সকাল সকাল আবার একটু মদ খেয়ে নিলে হ্যাংওভার আদৌ কমবে কি না, তা বোঝার জন্য জানা দরকার, হ্যাংওভার কেন হয়।
হ্যাংওভারের কারণ কী (Reason behind hangover):
কেউ যখন মদ্যপান করেন, তখন তাঁর শরীর সেই অ্যালকোহলকে ভাঙতে শুরু করে। এর ফলে রক্তে অ্যালকোহল মেশে। এটির ফলে মদ্যপায়ীর নেশা হয়। কারণ সেই অ্যালকোহল রক্তের সঙ্গে মস্তিষ্কে পৌঁছে যায়। হ্যাংওভারের হয় এর পরে। যখন রক্তে অ্যালকোহলের পরিমাণ শূন্য হয়ে যায়। তাছাড়া অ্যালকোহলের প্রভাবে শরীর শুকিয়েও যায়। এটিও হ্যাংওভারের অন্যতম কারণ।
আবার মদ খেলে রক্তে অ্যালকোহলের মাত্রা বাড়ে (Raises Your Blood Alcohol Level):
হ্যাংওভারের মধ্যে মদ খেলে হ্যাংওভার কমতে পারে— এমন ধারণার পিছনে রয়েছে রক্তে অ্যালকোহলের মাত্রা বাড়ানোর তত্ত্ব। অর্থাৎ রক্তে যে অ্যালকোহলের মাত্রা শূন্য হয়ে যাওয়ার ফলে হ্যাংওভার হয়েছিল, সেই অ্যালকোহল আবার ফিরিয়ে আনা। মোটের ওপর বিষয়টা অনেকটা এরকম— একবার হ্যাংওভার থেকে বাঁচতে আবার মাতাল হয়ে যাওয়া।
আদৌ কি লাভ হয় (Does it really help):
বিজ্ঞানীরা বলছেন, কিছু ক্ষণের জন্য স্বস্তি হতে পারে এর ফলে। কারণ এতে রক্তে অ্যালকোহলের মাত্রা আবার বেড়ে যায়। কিন্তু আসলে এটা আরও বেশি ক্ষতি করে। কারণ এর পরে আবার রক্তে অ্যালকোহলের মাত্রা শূন্য হয়। তখন আরও জবরদস্ত ভাবে ফিরে আসে হ্যাংওভার। অর্থাৎ একবার হ্যাংওভার থেকে বাঁচতে দ্বিগুণ পরিমাণে হ্যাংওভার ডেকে আনা হয় এর ফলে।
তাহলে কী করবেন (Remedies of hangover):
তাই হ্যাংওভার কমাতে নতুন করে আবার মদ্যপান করাটাকে সমর্থন করে না চিকিৎসা বিজ্ঞান। বরং বেশি করে জল খাওয়া, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত ঘুম— এগুলোই হ্যাংওভারের সমস্যা কমাতে পারে। এমনই বলছে বিজ্ঞান।