যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। মায়েরা হন দশভুজার মতোই। সবদিকেই তাদের সমান খেয়াল, সমান যত্ন। রান্নাবান্না ঘরদোর সামলানোর পাশাপাশি ছেলেমেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিয়ে আসা থেকে স্কুল থেকে নিয়ে আসা পর্যন্ত সব কাজই অক্লান্তভাবে যিনি করেন, তিনি মা। তেমনই এক মায়ের কাহিনি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করলেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু।
চুরি যাওয়া বাইক পুনরুদ্ধার
বুধবার অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের একটি ভিডিয়ো নিজের ওয়ালে শেয়ার করেন চন্দ্রবাবু। গত তিন মাসে ইলুরু পুলিশ ২৫০টি চুরি যাওয়া বাইক পুনরুদ্ধার করেছে। সেই সাফল্যের ভিডিয়োর গোড়াতেই দেখা যায় এক মধ্যবয়স্কাকে। তিনি তাঁর স্কুটি ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। আনন্দের কান্না। ওই স্কুটি করেই মহিলাটি তার সন্তানকে হাসপাতালে নিয়ে যেতেন। দুর্ভাগ্যক্রমে সেটি চুরি যাওয়ার ফলে দীর্ঘদিন তাঁকে কষ্টের মধ্যে থাকতে হয়। অবশেষে পুলিশের তৎপরতায় তাঁর গাড়ি ফিরে পেয়েছেন তিনি। আর তাতেই বাঁধভাঙা কান্না।
আরও পড়ুন - Bird Flu: চুপিসাড়ে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বার্ড ফ্লু! মুরগির মাংস, ডিম এখন কতটা নিরাপদ
স্কুটি ফিরে পেয়ে বাঁধভাঙা কান্না
চন্দ্রবাবু নাইডু পোস্টটি শেয়ার করে লেখেন, একজন মায়ের কাছে স্কুটি কতটা জরুরি, তা এই ভিডিয়োটি দেখিয়ে দিল। চন্দ্রবাবু তাঁর পোস্টে লেখেন, শ্রীমতি নিলি আলিভেনির একজন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত কন্যা রয়েছে। তাঁকে নিয়ে স্কুটিতে করেই হাসপাতালে যেতেন তিনি। সেই স্কুটিটিই চুরি হয়ে যায়। শেষমেশ পুলিশের তৎপরতায় স্কুটিটি ফেরত পেয়েছেন তিনি। তারপরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নিলি। সন্তানকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জীবনযুদ্ধের যোদ্ধা নিলি আলিভেনি। আর সেই যুদ্ধেরই এক সঙ্গী ছিল এই স্কুটি।
আরও পড়ুন - WhatsApp করতে গেলে এবার থেকে টাকা দিতে হবে? জারি হচ্ছে নয়া নিয়ম
অন্ধ্র পুলিশের প্রশংসা
এই দিনের পোস্টটিতে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশের প্রশংসাও করেছেন চন্দ্রবাবু। তাঁর কথায়, বহু পরিবারের কাছে বাইক অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন। এমনও দেখা যায় যে, সারা পরিবার ওই একটি বাইকের উপর নির্ভর করে থাকে। কারণ রুটিরুজির কাজে অনেকটাই সাহায্য করে ওই বাইক। প্রসঙ্গত, গত ৩ মাসে মোট ২৫০টি বাইক উদ্ধার হয়েছে। মোট ২৫ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া করা হয়েছে বলে ইলুরু পুলিশের প্রশংসাও করেন তিনি।