মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলার পুত্র জেনের মৃত্যু হল সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত হয়ে। বয়স হয়েছিল মাত্র ২৬ বছর। প্রতি বছর সারা পৃথিবী জুড়েই এই সমস্যা নিয়ে বহু শিশু জন্মায়। বলা ভালো, এই motor disability-টিই সবচেয়ে বেশি মাত্রায় দেখা যায় শিশুদের মধ্যে।
কী হয় এই সমস্যায়?
Cerebral Palsy অসুখের ক্ষেত্রে মস্তিষ্ক এবং পেশির মধ্যে সংযোগের সমস্যা হয়। তাতে আক্রান্তের পক্ষে পেশির উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব হয় না। মূল সমস্যাগুলি হয়:
- শোনার ক্ষেত্রে সমস্যা
- দৃষ্টিশক্তির সমস্যা
- হাঁটাচলা বা অন্য কাজের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা
কীভাবে এই অসুখটি হয়?
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্নায়ুবিদ চিকিৎসক প্রশান্ত মাখিজা বলেছেন, ‘জন্মের সময়ে বা আগে মস্তিষ্কে চোট, ঠিকঠাকভাবে মস্তিষ্কের বৃদ্ধি না হওয়ার ফলে এই সমস্যা হতে পারে।’
এই অসুখটির লক্ষণগুলি কী কী?
প্রশান্ত মাখিজা বলেছেন, যাঁরা এই অসুখে আক্রান্ত হন, তাঁদের পক্ষে স্বাভাবিকভাবে চলা ফেরা করা কঠিন। সারা জীবনই হয়তো যন্ত্র বা অন্য কারও সাহায্য নিয়ে হাঁটাচলা করতে হয়। এছাড়াও লক্ষণগুলি হল:
- কথা বলার সমস্যা
- ভালো করে শুনতে না পাওয়া
- দেখার ক্ষেত্রে সমস্যা হওয়া
- সারা শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ না থাকা।
সেরিব্রাল পালসির কারণ?
যদিও এই রোগটির সঠিক কারণ এখনও বোঝা যায়নি। কিন্তু মায়ের কিছু শারীরিক সমস্যা বা জীবনযাপনের সমস্যার কারণে শিশুদের এই সমস্যা হতে পারে বলে মনে করেন চিকিৎসকরা। হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যোগেশ কুমার গুপ্তা বলছেন, মায়েদের কারণে অনেক সময়ে এই সমস্যা হতে পারে শিশুদের। মায়ের জীবনযাপনের কোন কোন দিকগুলি এর জন্য দায়ী হতে পারে:
- ধূমপান
- অতিরিক্ত মদ্যপান
- মাদক সেবন
এই অভ্যাসগুলি সন্তানের বিপদ ডেকে আনতে পারে।
এই অসুখটির চিকিৎসা কী?
প্রশান্ত মাখিজার কথায়, এই অসুখ পুরোপুরি সারানো কঠিন। কিন্তু একেবারে গোড়ার দিকে ধরা পড়লে নানা ধরনের থেরাপি সমস্যা অনেক কমিয়ে দিতে পারে। হালে চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির ফলে অনেকেই এই সমস্যা অনেকটাই কাটিয়ে উঠতে পারছেন।