আজ ১১ নভেম্বর জাতীয় শিক্ষা দিবস। প্রতি বছর এই দিন দেশের শিক্ষাব্যবস্থার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থার নিরিখে অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে ভারত। তৃতীয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলির তুলনায় ভারতে উচ্চশিক্ষার বহু প্রতিষ্ঠান গুণমানে উন্নত। কিন্তু কীভাবে শুরু হল জাতীয় শিক্ষা দিবস? এর নেপথ্যে রয়েছেন এক ভারতীয়ের অবদান। তিনি মৌলানা আবুল কালাম আজাদ।
কীভাবে শুরু হল জাতীয় শিক্ষা দিবস?
জাতীয় শিক্ষা দিবস ২০০৮ সাল থেকে পালন করা হয়ে আসছে। প্রতি বছর ১১ নভেম্বর এই দিনটি পালন করা হয়। ২০০৮ সালে দেশের শিক্ষামন্ত্রক মৌলানা আবুল কালাম আজাদকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ১১ নভেম্বর দিনটিকে জাতীয় শিক্ষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। চলতি বছর ২০২৪ সালে ১৭তম জাতীয় শিক্ষা দিবস পালন করা হবে।
আরও পড়ুন - শ্বাসরোধ করা পরিস্থিতি পাকিস্তানে! মাত্রাছাড়া দূষণের জেরে বন্ধ হল স্কুল
ভারতের শিক্ষাব্যবস্থায় তাঁর অবদান
ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ। তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতি বছর তাঁর জন্মবার্ষিকীতে জাতীয় শিক্ষা দিবস পালন করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন প্রথম থেকেই তিনি জোর দিয়েছিলেন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্য়বস্থার উপরে। বৈজ্ঞানিক চিন্তাভাবনার ভিত্তিতে শুরু হয়েছিল শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা। শিক্ষাই উন্নয়নের মূল। এই ভাবনা বরাবর প্রোথিত ছিল তাঁর মধ্যে।
আরও পড়ুন - পরিবারের লক্ষ্মীকে বেচে না দিয়ে সমাধি গুজরাটে! শ্রাদ্ধে উপস্থিত থাকল ১৫০০ অতিথি
নারীশিক্ষার ব্যাপারেও তিনি অগ্রণী
দেশজুড়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বহু স্কুল তাঁর মন্ত্রীত্বের আমলে তৈরি হয়। স্কুলগুলির পঠনপাঠনও শুরু হয়েছিল সেই সময়। তবে এর বাইরে নারীশিক্ষার বিস্তারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল মৌলানা আবুল কালাম আজাদ। নারীশিক্ষা জোরদার করার জন্য তাঁর আমলে বেশ কিছু গার্লস স্কুলের নির্মাণ হয়। সেখানে নিয়মিত পঠনপাঠন শুরু করা হয় তাঁর সময়ে। এছাড়াও, তিনি বিশ্বাস করতেন ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা পাওয়া উচিত সকল শিশুর। পরে সরকারি স্কুলগুলিতে সেই ব্যবস্থা অনেকটাই কার্যকর হয়েছিল। ১৯৯২ সালে শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য তাঁকে ভারতরত্ন উপাধিতে ভূষিত করা হয়।