দুর্গাপুজোর সময় নয়দিন ধরে যে উপোস রাখা হয় এবং দেবীর নয়টা রূপের পুজো করা হয়ে থাকে সেটাকেই বলা হয়ে থাকে শারদীয়া নবরাত্রি। এই বছর নবরাত্রি ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে নবরাত্রি। এছাড়াও বছরে আরও তিনটি নবরাত্রি হয়, কিন্তু তার মধ্যে আরেকটি ধুমধাম করে পালন হয় চৈত্র মাসে। সেটাকে বলা হয় চৈত্র নবরাত্রি। এই সময় যাঁরা উপোস করেন তাঁরা অনেক কিছুই খেতে পারেন না, মূলত ফল, ইত্যাদি খেয়ে থাকেন। ভাত, ডাল, পেঁয়াজ, ইত্যাদি একদমই খাওয়া যায় না। ফলে এই সময় যাঁরা এই নবরাত্রি পালন করেন তাঁদের খাদ্যাভাসে একটা আমূল পরিবর্তন দেখা যায়। যার সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করতে আমাদের শরীরের বেশ খানিকটা সময় লেগে যায়। তাই আপনি যদি চান এই সময় আপনি সুস্থ থাকবেন, রিফ্রেশ থাকবেন তাহলে এই পানীয়গুলি বানিয়ে খেতে পারেন। এতে যেমন আপনার স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, তেমনই শরীরে একাধিক পুষ্টি জোগাবে। এই পানীয়গুলো থেকে আপনারা পাবেন প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিন, ফ্যাট, ইত্যাদি। যা আমাদের একাধিক রোগের হাত থেকে বাঁচাবে।
দেখে নিন নবরাত্রির সময় কোন পানীয়গুলো খেলে আপনি ভালো থাকবেন।
১. নারকেলের সরবত: এটা বানানোর জন্য মূলত তিনটি উপাদান লাগবে, যাতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এবং এটা খেতেও ভীষণ সুস্বাদু হয়। নারকেলের সরবত বানানোর জন্য নিন গরম জল এবং সেটাকে জোরে ঝাঁকান। তারপর তাতে দিয়ে দিন নারকেলের দুধ এবং এবং আপনার পছন্দের মিষ্টি সিরাপ। এবার ভালো করে মিশিয়ে বানিয়ে নিন নারকেলের সরবত। সঙ্গে খেজুর, ইত্যাদি দিতে পারেন।
২. গোল্ডেন ল্যাটে: এটা বানানোর জন্য হলুদ, গোলমরিচ, আমন্ড দুধ, খেজুর, এবং ভ্যানিলা এসেন্স লাগবে। সঙ্গে একটু বিটনুন দিতে পারেন। এগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন গোল্ডেন ল্যাটে।
৩. কমলালেবুর সরবত: এটা বানানোর জন্য কমলালেবুর রস এবং কয়েক টুকরো কমলালেবু লাগবে। এটা খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই এটা হজম করতে সাহায্য করবে। এছাড়া এটা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান।
৪. আদা দেওয়া গ্রিন টি: গ্রিন টি স্বাস্থ্যের জন্য কতটা ভালো সে কথা সবাই জানে। কিন্তু এর সঙ্গে যদি একটু বরফ মিশিয়ে খাওয়া যায়? গ্রিন টি বানিয়ে সেটা ঠাণ্ডা করে তার সঙ্গে বরফের কুচি মিশিয়ে একটু পাতিলেবুর রস দিয়ে খেতে পারেন। সঙ্গে দিতে পারেন আদার রস এবং মিন্ট পাতা। এটা যেমন রিফ্রেশিং,তেমনই স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
৫. চারকোল ডিটক্স: পুজো আচ্চার সময় প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি, ইত্যাদি খাওয়া হয়ে যায়। ফলে এই সময় শরীর ডিটক্স করা প্রয়োজন। চারকোল মেশানো ক্লাসিক লেমনেড খেতে পারেন। এটা বানানোর জন্য ফ্রেশ লেমনেড লাগবে সঙ্গে মেশান চারকোল পাউডার এবং সামান্য নুন। সঙ্গে পছন্দের মিষ্টি সিরাপ দিতে পারেন। ব্যাস তাহলেই তৈরি হয়ে যাবে এই ডিটক্স ড্রিংক।