ক্যানসার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরেই নানা গবেষণা চালিয়ে আসছেন বিজ্ঞানীরা। শুধু যে ক্যানসারের ওষউধ আভিষ্কারের জন্য এই ধরনের গবেষণা— তা নয়। এর পাশাপাশি ক্যানসার কী করে প্রতিহত করা যায়, তা নিয়েও গবেষণা চলছে। হালে এমনই এক গবেষণায় চমকপ্রদ একটি ফলাফল পেয়েছেন তাঁরা। সেখানে দেখা গিয়েছে, হাতের কাছে থাকা একটি বিশেষ ফল ক্যানসার প্রতিহত করতে পারে। এটি আর কিছুই নয়, আমাদের অতি পরিচিত কলা। তবে একটি বিশেষ নিয়ম মেনে খেতে হবে এই ফলটি।
সম্প্রতি Cancer Prevention Research নামক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এই গবেষণাপত্রটি। সেখান থেকে জানা গিয়েছে, বিজ্ঞানীরা দীর্ঘ দিন ধরে Lynch syndrome নামক একটি অসুখ নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিলেন। এটি একটি DNA সংক্রান্ত অসুখ। সেটির গবেষণা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেন, কিছু বিশেষ ধরনের স্টার্চ এই রোগ প্রতিহত করতে পারে। তার পরেই বিজ্ঞানীরা পৌঁছে যান ক্যানসারের মূলে। আর দেখা যায়, ওই বিশেষ ধরনের স্টার্চ ক্যানসার প্রতিহত করতেও সাহায্য করে। (আরও পড়ুন: ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে বাড়ছে প্রস্টেট ক্যানসার, জীবনযাত্রায় এখনই কী কী বদল আনবেন)
আসলে Lynch syndrome-এর পিছনে যেমন রয়েছে DNA-এ ত্রুটি, তেমনই ক্যানসারের ক্ষেত্রেও DNA-ঘটিত সমস্যা কাজ করে। তাই উভয়ের ক্ষেত্রেই চিকিৎসা বা প্রতিহত করার রাস্তাই একই হতে পারে বলেই মনে করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। আর সেই সূত্রেই তাঁরা এই নতুন তথ্যটি আবিষ্কার করে ফেলেছেন। (আরও পড়ুন: চা, তা আবার কলা দিয়ে তৈরি! খেলে কী হয় জানেন? জানলে চমকে যাবেন)
এবার আসা যাক, ক্যানসার প্রতিহত করার ক্ষেত্রে কী বলছেন তাঁরা— সেই বিষয়ে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কলায় এমন ধরনের স্টার্চ রয়েছে, যা ক্যানসার প্রতিহত করতে পারে। ক্যানসারের কোষগুলি যাতে না বাড়ে, সেই বিষয়ে সাহায্য করতে পারে। শুধু তাই নয়, কেউ যদি ক্যানসারে আক্রান্ত হন, তাহলে তাঁর চিকিৎসার ক্ষেত্রেও কিছুটা সাহায্য করতে পারে এই ফল। অর্থাৎ ক্যানসারেরে চিকিৎসা চালাকালীন কেউ যদি নিয়মিত কলা খান, তাহলে তিনি চিকিৎসায় আরও ভালো করে সাড়া দিতে পারেন। কিন্তু কলা খাওয়ার ক্ষেত্রে একটি নিয়ম মেনে চলার কথাও বলছেন তাঁরা। কী সেই নিয়ম?
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, কাল বেশি পাকা হলে চলবে না। টাটকা এবং একটু কম পাকা কলা খেতে হবে রোজ। এই জাতীয় কলায় যে বিশেষ ধরনের স্টার্চ রয়েচেন, সেটিই ক্যানসার প্রতিহত করতে সাহায্য করে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। বেশ কয়েক হাজার মানুষের উপর পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন তাঁরা।