কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ২ বছর কেটে গিয়েছে। এই জীবাণুটি নিয়ে নানা ধরনের গবেষণা হয়েছে। গোড়ায় যা যা মনে হয়েছিল, তার অনেক কিছুই এখন আর ঠিক বলে ধরছেন না বিজ্ঞানীরা। এই যেমন, জীবাণুটি মানুষের শরীরের বাইরে কত ক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে, সেই বিষয়টি নিয়েও ধোঁয়াশা ছিল প্রথম প্রথম। সে বিষয়েও এখন স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।
গোড়ার দিকে অনেকেই মনে করতেন, এই জীবাণুটি দীর্ঘ ক্ষণ বেঁচে থাকতে পারে শরীরের বাইরে। এমনকী ধাতব জায়গা বা কাগজের উপরেও ২৪ ঘণ্টার বেশি টিকে থাকতে পারে এটি। কিন্তু পরবর্তী কালে সেই ধারণায় অনেক বদল এসেছে। হালে বিজ্ঞানীরা বলছেন, বাতাসে কতটা জলীয় বাষ্প রয়েছে, তার উপরেই নির্ভর করে, শরীরের বাইরে কত ক্ষণ বেঁচে থাকবে এই জীবাণু।
তাহলে এখন কী বলছেন বিজ্ঞানীরা? কোনও কোভিড আক্রান্তের সামনে গেলেই কি আপনার কোভিড হতে পারে?
University of Bristol-এর বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, শ্বাসের সঙ্গে মুখ থেকে বেরিয়ে আসার পরে ২ মিনিট পর্যন্ত ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে এই জীবাণু। তার পর থেকেই দ্রুত হারে কমতে থাকে এর সংক্রমণের হার। পরের ৩ মিনিটে ক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়। ৫ মিনিট থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত জীবাণুটি বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু তত ক্ষণে তার সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের নীচে নেমে যায়।
তবে গোটা বিষয়টি বাতাসের জলীয় বাষ্পের উপর নির্ভরশীল সে কথাও বারবার বলেছেন বিজ্ঞানীরা। যেমন বাথরুমের মতো বদ্ধ এবং ভেজা পরিবেশে এটির ক্ষমতা অনেক ক্ষণ থেকে যেতে পারে, তাও বলেছেন তাঁরা।
ওমিক্রনের ক্ষেত্রেও কি এই কথা প্রযোজ্য?
বিজ্ঞানীরা বলছেন, মোটের উপর করোনার সব ক’টি রূপের ক্ষেত্রেই এই কথা প্রযোজ্য। এভাবেই বাতাসে বেঁচে থাকে কোভিডের জীবাণু। তবে ওমিক্রনের ক্ষেত্রে সংক্রমণের হারটা দ্রুত। তাই সময়ের ক্ষেত্রে সামান্য বদল হতে পারে। আর মাস্ক পরে কোভিড আক্রান্তের মুখোমুখি হলে এই সংক্রমণের আশঙ্কা অনেকটা কমতে পারে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা।