প্রত্যেক বার রূপ বদলের সময়ে নিজেকে অনেক খানি বদলে ফেলেছে করোনাভাইরাস। ফলে করোনার প্রথম যে রূপটির ভিত্তিতে টিকার কাজ শুরু হয়েছিল, তা এখন অনেকটাই প্রশ্নচিহ্নের মুখে। এমতাবস্থায় আবার কি বদলাতে পারে করোনাভাইরাস? নাকি ওমিক্রন দিয়েই শেষ হবে করোনার এই আতঙ্ক? কী বলছেন বিজ্ঞানীরা?
এখনও পর্যন্ত করোনার মোটামুটি পাঁচটি রূপ মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল।
- আল্ফা
- বিটা
- গামা
- ডেল্টা
- ওমিক্রন
এর মধ্যে ওমিক্রনের সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। কিন্তু মারাত্মক আকার ধারণ করার ক্ষমতা সবচেয়ে কম। এর পরে কি করোনার আরও রূপ আসবে? নাকি ওমিক্রনেই শেষ? আর যদি নতুন রূপ আসে, তাহলে কি সেটি ওমিক্রনের চেয়ে কম ক্ষতিকারক হবে?
এমন সব প্রশ্ন অনেকেই করছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-এর তরফেও বলা হয়েছে, এমন কিছু ধরে নেওযার নেই যে, ওমিক্রনই শেষ রূপ। এর পরে কী কী হতে পারে? তারও একটা ধারণা দেওয়া হয়েছে। মূলত চার ধরনের পরিস্থিতির কথা বলছেন বিজ্ঞানীরা।
- পরিস্থিতি ১: ভবিশ্যতে করোনা হামের মতো একটি অসুখে পরিণত হবে। সদ্যজাতদের মধ্যে একবার করে হবে। সারা জীবনের মতো শরীরে এটির অ্যান্টিবডি থেকে যাবে।
- পরিস্থিতি ২: এটি ক্রমশ Respiratory Syncytial Virus বা RSV-এর মতো ভাইরাসে পরিণত হবে। জীবনের প্রথম দু’বছরের মধ্যে অনেকের এটির সংক্রমণ হবে। খুব কম সংখ্যায় হলেও কাউকে কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। তবে বাড়াবাড়ি বিশেষ হবে না।
- পরিস্থিতি ৩: ইনফ্লুয়েঞ্জা এ-র মতো হয়ে যেতে পারে এটি। প্রতি বছর অনেকের হবে। বছরের পর বছর টিকা নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
- পরিস্থিতি ৪: ভাইরাসটির সংক্রমণের হার কমবে, কিন্তু ইনফ্লুয়েঞ্জা বি-র মতো এটি বেশি মাত্রায় ছড়াবে শিশুদের মধ্যে। বড়দের সমস্যা তুলনায় কম হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO কী বলছে?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বলা হয়েছে, ওমিক্রনই কোভিডের শেষ রূপ, এমন ধরে নেওয়ার কারণ নেই। এটি আরও ছড়াবে। কিন্তু সেই নতুন রূপ বেশি সংক্রামক হবে, নাকি দুর্বল হবে— সেটি বোঝার জন্য আপাতত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।